জুমবাংলা ডেস্ক : এবার এক স্কুলছাত্রী তার মৃত কন্যাসন্তান নিয়ে থানায় হাজির হওয়ায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে এ ঘটনা ঘটেছে। ধর্ষণের শিকার হয়ে সাত মাস আগে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে সে। গত মঙ্গলবার সে সন্তান প্রসব করে এবং বৃহস্পতিবার নবজাতক মারা যায়।
মৃত নবজাতককে নিয়ে বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) থানায় হাজির হয় ওই স্কুলছাত্রী। থানায় গিয়ে নিজ শিক্ষকের ছেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করে।
স্থানীয় ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হাবিবুর রহমানের ছেলে মো. রায়হানকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। মামলার পর থেকে অভিযুক্ত রায়হান এবং তার বাবা স্কুল শিক্ষক হাবিবুর রহমান পলাতক রয়েছেন।
জানা যায়, প্রায় সাত মাস ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করা হলে বিষয়টি তখন জানাজানি হয়ে যায়। পরে রায়হানের বাবা কিশোরীর সঙ্গে ছেলের বিয়ে দেয়ার প্রতিশ্রতি দেয়। কিন্তু পরে বিয়ে দিতে অস্বীকার করে।
ওই কিশোরীর বাবা বলেন, ‘আমার মেয়েটি খুবই সহজ-সরল। এ সরলতার সুযোগে মেয়েটির জীবন যে লম্পট শেষ করেছে আমি তার শাস্তি চাই। আমার মেয়েটির শারীরিক অবস্থাও ভালো নয়।’
দেওয়ানগঞ্জ থানার ওসি এমএম মইনুল ইসলাম সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘শুক্রবার একটি মৃত শিশু কোলে নিয়ে ওই কিশোরী তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে থানায় মামলা করতে আসে। এ ব্যাপারে থানায় একটি ধর্ষণের মামলা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।