জুমবাংলা ডেস্ক: সেনাবাহিনীর সাবেক মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় দ্বিতীয় দফায় ৫ম সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে ৫ নম্বর সাক্ষী প্রত্যক্ষদর্শী হাফেজ মোহাম্মদ আমিনের সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরার মধ্য দিয়ে শেষ হয় তৃতীয় দিনের মতো বিচারিক কার্যক্রম। কাল বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) চতুর্থ ও শেষ দিনে ৬ষ্ঠ সাক্ষী এবং সম্ভব হলে অন্যান্য সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা হওয়ার কথা রয়েছে।
মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকাল সোয়া ১০টার দিকে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইলের আদালতে সাক্ষ্য দেন টেকনাফের শামলাপুরের ঘটনাস্থল নিকটবর্তী শামলাপুর লামার বাজার জামে মসজিদের মুয়াজ্জিন ও ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী হাফেজ মোহাম্মদ আমিন।
পরে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে তাকে জেরা শুরু করেন আসামি পক্ষের আইনজীবীরা। বিকেল ৫টা পর্যন্ত ১৫ আসামির আইনজীবীরা ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী হাফেজ মোহাম্মদ আমিনকে জেরা করেন। আদালতে থাকা আইনজীবী সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এ ছাড়াও আরও দুজন সাক্ষী সাইফুল আবছার ও মো. শওকত আলীকে আদালতে উপস্থিত রাখা হয়েছিলো। এ পর্যন্ত বাদীসহ মোট ৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা আদালতে সম্পন্ন হয়েছে।
এর আগে, সকাল ৯ টা ৩৫ মিনিটে কক্সবাজার জেলা কারাগার থেকে বরখাস্ত ওসি প্রদীপসহ মামলার ১৫ আসামিকে প্রিজন ভ্যানে করে কড়া পুলিশ পাহারায় আদালতে আনা হয়। সাক্ষ্যগ্রহণ ঘিরে কক্সবাজার আদালতে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়।
কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফরিদুল আলম জানিয়েছেন, মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টার কিছু সময় পর জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইলের আদালতে ৫ম সাক্ষী সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। সকাল সাড়ে ১১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ১৫ আসামির আইনজীবীরা ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী হাফেজ মোহাম্মদ আমিনকে জেরা করেন।
অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম জানিয়েছেন, হাফেজ মোহাম্মদ আমিনের সাক্ষ্যের গুরুত্ব রয়েছে। কারণ হাফেজ আমিন ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারার জবানবন্দি দিয়েছিলেন। তাই সিনহার সফরসঙ্গী সিফাতের মতো হাফেজ আমিনের জবানবন্দি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, আমাদের প্রচেষ্টা থাকে হাজির সবার সাক্ষ্য ও জেরা সম্পন্ন করার। কিন্তু আসামি পক্ষের আইনজীবীদের অসহযোগিতায় সেটা সম্ভব হচ্ছে না। তারা সাক্ষীকে অপ্রাসঙ্গিক প্রশ্ন করে সময় নষ্ট করেন। আর ১৫ আসামীর পক্ষে ১৫ জন আইনজীবী আলাদাভাবে আধাঘণ্টা করে জেরা করেন।
এতে আদালতের জেরার সময় লাগে সাড়ে সাত ঘণ্টা। জবানবন্দি নিতেও সময় লাগে ঘণ্টা দেড়েক। এতে আদালতের কর্মঘণ্টা ৯ ঘণ্টা এবং মধ্যাহ্ন বিরতিসহ দাঁড়ায় ১০ ঘণ্টা। ফলে, একজনের বেশি সাক্ষ্য নেওয়া সম্ভব হয়ে উঠছে না।
গত বছর ১৩ ডিসেম্বর র্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়ানের তৎকালীন দায়িত্বরত সহকারি পুলিশ সুপার খাইরুল ইসলাম ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। গত ২৭ জুন আদালত ১৫ জন আসামির বিরুদ্ধে আদালত অভিযোগপত্র গঠন করেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।