জুমবাংলা ডেস্ক : যশোরের নিপু বিশ্বাস। মেডিকেল কলেজে লেখাপড়া করে চিকিৎসক হবেন- এমন স্বপ্ন বুকে নিয়ে এবার এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পান মেধাবী এই তরুণ। স্বপ্ন বাস্তবায়নে নিজের টিউশনির টাকা ও মানুষের দেওয়া সাহায্য মিলিয়ে কোচিংও করেছেন। এরপর মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেন নিপু। খুলনা মেডিকেল কলেজের মেধাতালিকার প্রথম দিকেই নাম আসে তার। মঙ্গলবার রাতে ফলাফল জানার পর আনন্দিত হন নিপু। কিন্তু মুহূর্তেই সেই সুখানুভূতি হারিয়ে তার মনে জায়গা করে নেয় দুশ্চিন্তার ছাপ। কারণ দারিদ্র্যের বাঁধা অতিক্রম করে নিপুর মেডিকেলে ভর্তি হওয়াটা দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে। ফলে স্বপ্ন ফিঁকে হয়ে আসছে।
নিপু বিশ্বাস যশোর সদরের কনেজপুর গ্রামের রণজিৎ বিশ্বাস ও সাগরিকা বিশ্বাসের ছেলে। মেধাবী এ তরুণ এ বছর এইচএসসি পরীক্ষায় যশোর সরকারি এমএম কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন। নিপুর বাবা রণজিৎ বিশ্বাস বাঁশের ঝুড়ি তৈরি করে সংসার চালান। প্রতিদিন তার আয় মাত্র ২০০-৩০০ টাকা। এই আয়ে পরিবারের ৪ জনের সংসার কোনো রকম চলে।
রণজিৎ বিশ্বাস বলেন, ছেলে মেডিকেলে চান্স পেয়েছে এতে খুশি। কিন্তু আর্থিক অনটনের সংসার। অনেক কষ্টে ছেলেকে এতদূর এনেছি। মেডিকেলে ভর্তি করাসহ পড়াশুনার ব্যয় বহনের মতো আর্থিক সঙ্গতি নেই। তাই কিভাবে ছেলের ভর্তির টাকা যোগাড় হবে তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি।
নিপুর মা সাগরিকা বিশ্বাস বলেন, আমাদের কোনো জমিজমা নেই। শুধু ভিটাটুকু আছে। স্বামী বাঁশের ঝুড়ি বানিয়ে বাজারে বিক্রি করে যা আয় করেন, তা দিয়ে কোনো রকমে সংসার চালান। এখন নিপুর মেডিকেলে ভর্তি ও ডাক্তারি পড়ার টাকা কোথা থেকে আসবে তা ভেবে পাচ্ছি না।
সমাজের বিত্তবানদের সহায়তা পেলে নিপুর মেডিকেলে ভর্তি ও পড়াশুনা চালিয়ে নেওয়া সম্ভব বলে জানান তার মা-বাবা।
নিপু যশোর সদরের ডাকাতিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায়ও জিপিএ-৫ পেয়েছিল। ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা হেলেনা আকতার বলেন, নিপুদের অভারের সংসার। আমাদের স্কুলে সে যখন পড়তো, তখন আমরা তাকে বিনামূল্যে খাতাকলম ও অন্যান্য শিক্ষা উপকরণ সরবরাহ করেছি। এখন সে এইচএসসি পরীক্ষায়ও ভালো রেজাল্ট করেছে। কিন্তু পরিবারের দারিদ্রতার কারণে তার উচ্চশিক্ষা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। সূত্র : সমকাল
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।