জুমবাংলা ডেস্ক : সিরাজগঞ্জের শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজে ক্লাস চলাকালীন সময় শিক্ষক ডা. রায়হান শরীফের গুলিতে আহত হয়েছেন আরাফাত আমিন তমাল নামে এক ছাত্র। ওই শিক্ষক প্রায়ই লোডেড রিভলভার নিয়ে ক্লাসে এসে ছাত্রছাত্রীদের ভয় দেখাতেন বলে জানা গেছে।
সোমবার (৪ মার্চ) বিকেলে শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাসে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর অভিযুক্ত শিক্ষককে পুলিশ হেফাজতে নিয়েছে। আগ্নেয়াস্ত্রটি পুলিশ উদ্ধার করেছে।
আহত আরাফাত আমিন তমাল ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী। অভিযুক্ত শিক্ষক ডা. রায়হান শরীফ কলেজের কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগের শিক্ষক।
শিক্ষার্থীরা জানান, শিক্ষক রায়হান শরীফ মাঝেমধ্যেই পিস্তল নিয়ে ক্লাসরুমে ঢোকেন। তিনি ছাত্র-ছাত্রীদের বিভিন্ন সময় ভয়ভীতি দেখাতেন। সোমবার বিকেল ৫টায় ক্লাস চলাকালিন শিক্ষক রায়হান শরীফ দেশীয় পিস্তল ও ধারালো চাকু নিয়ে হঠাৎ করে ক্লাসে ঢোকেন। এ সময় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ৩য় বর্ষের ছাত্র আরাফাত আমিন তমালকে গুলি করেন তিনি। গুলিটা তার উরুতে লেগে যায়।
তার চিৎকারের সবাই এগিয়ে আসলে ডা. রায়হান শরিফকে তালাবদ্ধ করে রাখা হয়। আহত অবস্থায় তমালকে শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে। এরপর বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস ঘিরে রেখে বিক্ষোভ করে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ, র্যাব ও গোয়েন্দা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। অভিযুক্ত শিক্ষককে হেফাজতে নেয় পুলিশ।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, আজ ভাইভা চলাকালীন ৪৫ জন শিক্ষার্থীর উপস্থিতিতে শিক্ষক রায়হান শরিফ তমালের ডান পায়ে গুলি করেন। ওই শিক্ষকের শাস্তি দাবিতে শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জনের ঘোষণা দেয়।
শহীদ এম মুনসুর আলী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ আমিরুল হোসেন জানান, শিক্ষক রায়হান শরীফ উগ্র মেজাজী। তিনি প্রায়ই ক্যাম্পাসে অস্ত্র নিয়ে আসেন। আজকেও তিনি পিস্তল নিয়ে প্রবেশ করেন। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তুচ্ছ ঘটনায় বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন তিনি। বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে ওই শিক্ষক তমালের পায়ে গুলি করেন। তাকে মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। সে বর্তমানে আশংকামুক্ত।
সিরাজগঞ্জ সদর থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম জানান, শহীদ মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের ছাত্র ও শিক্ষকের মধ্যে গণ্ডগোল হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে।
পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মন্ডল বলেন, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক ছাত্রের পায়ে গুলি করেন শিক্ষক। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে। অভিযুক্ত শিক্ষককে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে এবং পিস্তল জব্দ করা হয়েছে।
দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মাদকবিরোধী বক্তব্য দেওয়ার নির্দেশ
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।