স্পোর্টস ডেস্ক: মাশরাফি বিন মর্তুজাকে সবাই চেনে সাদা বলে বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক হিসেবে। তবে লাল বলেরও অধিনায়ক ছিলেন তিনি। কিন্তু ২০০৯ সালে টেস্ট অধিনায়কত্বের অভিষেক ম্যাচেই ইনজুরিতে পড়েন মাশরাফি। এরপর আর টেস্ট খেলা হয়নি তাঁর। এমনকি ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটেও অনিয়মিত হয়ে পড়া মাশরাফি সর্বশেষ জাতীয় লিগের ম্যাচ খেলেছেন ২০১৮ সালের এপ্রিলে। সেই তাঁকে দেখা যেতে পারে লাল বল হাতে ছুটতে, মধ্য অক্টোবরে শুরু হতে যাওয়া জাতীয় লিগে।
করোনার কারণে গত বছরের মার্চে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ স্থগিত হওয়ার পর আর ক্রিকেটের আশপাশেই দেখা যায়নি মাশরাফি বিন মর্তুজাকে। ওজন বেড়ে গিয়েছিল প্রায় ১৫-১৬ কেজি। কিন্তু গতকাল তাঁর নিজের ফেসবুক পোস্টে দেওয়া ছবিতে একদমই মেদহীন মাশরাফি। ‘প্রায় এক শ কেজি ওজন হয়ে যাচ্ছিল। অল্পের জন্য সেঞ্চুরি হয়নি’, বরাবরের রসিকতায় শুরু করা মাশরাফি ফিটনেসে মনোযোগের নমুনাও দিলেন গতকাল, ‘এখন ৭৯ কেজি। আশির নিচে এই প্রথম।’
ওজন বেড়ে গেলে সেটা কমিয়ে নেওয়ার অসংখ্য উদাহরণ আছে মাশরাফির। বিরতির পর মাঠে ফেরার আগে ঝট করে ফিট হয়ে ওঠাটা তাঁর জন্য নতুন নয়। এবারও ওজন কমিয়েছেন মাঠে ফেরার লক্ষ্যেই, ‘ডিপিএল (ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ) ও বিপিএল (বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ) তো অবশ্যই খেলব। সুযোগ পেলে জাতীয় লিগের দুই-একটা ম্যাচও খেলতে চাই।’
লাল বলে তাঁর ফেরার ইচ্ছা সম্ভবত লম্বা বিরতিতে ম্যাচ প্র্যাকটিসে জমে থাকা ধুলোর ভারী স্তর সরানোর জন্যই। মূল লক্ষ্য ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ আর বিপিএল।
যত দূর জানা গেছে, এই দুটি আসরে তাঁর দল পাওয়াও একরকম নিশ্চিত। কিন্তু জাতীয় লিগে কি খুলনা দলে জায়গা পাবেন মাশরাফি, যেখানে ফিটনেস একটা বড় ইস্যু? শারীরিক ক্ষিপ্রতার পরীক্ষায় উতরালে পরেই না দল পাওয়া যায় জাতীয় লিগে। বোলিং মার্ক থেকে লাল বলে মাশরাফির দৌড় শুরুর ভবিষ্যৎ ছবির মাঠে এই একটা চ্যালেঞ্জ আছে। অবশ্য এমন চ্যালেঞ্জই সবচেয়ে বেশি তাতায় তাঁকে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।