আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিশেষ ওয়ার্ক ভিসা প্রচলনের আশা করছে সিঙ্গাপুর। বিশেষত সিঙ্গাপুরের উন্নয়নখাতে বিশ্বের মেধাবীদের নেয়ার কথা ভাবছে সরকার। সোমবার দেশটির মানবসম্পদ মন্ত্রী তান সি লেং পার্লামেন্টে এ ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, বিশেষ ওয়ার্ক ভিসা ছাড়ার আশা করছে সরকার। এর মধ্য দিয়ে ‘রেইনমেকারস অব দ্য ওয়ার্ল্ড’কে আকৃষ্ট করে অধিক প্রতিযোগিতামুলক করে তুলবে সিঙ্গাপুরকে। রেইনমেকারস অব দ্য ওয়ার্ল্ড বলতে তিনি ওইসব প্রকৌশল, উন্নত বিজ্ঞানের দিকে ইঙ্গিত করেছেন- যে বা যারা কৃত্রিম বৃষ্টি নামাতে পারেন। মেঘে কৃত্রিমভাবে স্ফটিক সৃষ্টি করে বৃষ্টি নামাতে পারেন।
সিঙ্গাপুরের স্থানীয় অধিবাসীরা সাধারণত বিদেশি অভিবাসী শ্রমিকের বিষয়ে অস্বস্তি প্রকাশ করে থাকেন। সে ক্ষেত্রে যদি মেধাবীদেরকে নেয়া হয় তাহলে এর মধ্য দিয়ে সে বিষয়ে ভারসাম্য রক্ষা হবে বলে মনে করেন মন্ত্রী। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
আঞ্চলিক অর্থনীতির এই প্রাণকেন্দ্র দু’সপ্তাহ আগে নতুন একটি নিয়ম ঘোষণা করেছে।
তাতে মাসে অভিবাসীরা কমপক্ষে ৩০ হাজার ডলার আয় করতে পারবেন বলে বলা হয়। তাদেরকে ৫ বছর মেয়াদী ভিসা দেয়ার প্রস্তাব দেয়া হয়। এসব খাতে যারা সুযোগ পাবেন একই সঙ্গে তাদের স্ত্রীকেও স্বয়ংক্রিয়ভাবে সিঙ্গাপুরে কাজ করার অনুমতি দেয়া হবে। মন্ত্রী তান সি লেং বলেন, বৈশিক প্রতিভারা সিঙ্গাপুরের টেকসই, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও ফিনটেকের মতো উন্নয়ন খাতের বিকাশে সহায়তা করতে পারেন। কিন্তু অন্যদেশগুলোর সঙ্গে আক্রমণাত্মক খেলায় চ্যালেঞ্জের মুখে আছে সিঙ্গাপুর। তিনি আরও বলেন, যখন আমরা শীর্ষস্থানীয় মেধাবীদের বিষয়ে কথা বলছি, তখন আমাদেরকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে তারা কতটা বৈশিক এবং তাদের জন্য এই প্রতিযোগিতা কতটা কঠিন।
একই রকম প্রোগ্রাম চালু করেছে বৃটেন, অস্ট্রেলিয়া, জার্মানি। ঠিক এ সময়ে ঘরের কাছের প্রতিবেশী মালয়েশিয়া এবং থাইল্যান্ড স্পেশালিস্ট বা বিশেষজ্ঞ বিদেশিদেরকে দীর্ঘমেয়াদে ভিসা ও প্রণোদনা ঘোষণা করছে। এসব অভিবাসী ওইসব দেশে গেলে তারা একটি নির্দিষ্ট সীমার ওপরে আয় করতে পারবেন।
সিঙ্গাপুরে বিদেশি কর্মীদের নিয়ে স্থানীয় শ্রমশক্তির মধ্যে অসন্তোষ আছে। তাদের আশঙ্কা ভাল আয়ের কাজগুলো নিয়ে নেবেন বিদেশিরা। এসব উদ্বেগ দূর করতে চাইছে সরকার। তারা মনে করছে বিদেশী মেধাবিদেরকে সিঙ্গাপুরে প্রলুব্ধ করতে পারলে তাতে সিঙ্গাপুরের বহু মানুষের জন্য বহুবিধ সুযোগ সৃষ্টি হবে। মন্ত্রী তান সি লেং বলেন, পাশাপাশি নিজেদের মেধা উন্নয়ন এবং কর্মশক্তিকে আধুনিকায়নের চেষ্টা করা হবে। এর মধ্য দিয়ে সিঙ্গাপুরের জনগণ আঞ্চলিক এবং বৈশিক পর্যায়ে নিজেদের উপস্থিতি প্রকাশ করতে পারবে। বৈশিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে তারা নেতৃত্বে যেতে পারবে।
মে মাসে সিঙ্গাপুরের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান বলেছেন, স্থানীয় স্টাফের চেয়ে বিদেশিদের জন্য বেশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি করছে সিঙ্গাপুরের আর্থিক খাত। তাই বলে ‘সিঙ্গাপুরিয়ান অনলি’ প্রবণতার দিকে অগ্রসর হলে তা দেশের জন্য ভয়াবহ হতে পারে।
সবচেয়ে দামি রত্ন রানির মুকুটের কোহিনূর ফেরত চাইছেন ভারতীয়রা!
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।