জুমবাংলা ডেস্ক : ‘আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, গত নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারেনি’ বাংলাদেশের ওয়াকার্স পার্টির সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেননের এমন বক্তব্যে সারাদেশে আলোচনা-সমালোচনা চলছে।
এবার এ বিষয় নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল নিজের ফেসবুক পেজে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। তার স্ট্যাটাসটি পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো-
তিনি লিখেছেন- আরেকবার মন্ত্রী হওয়ার বা ক্যাসিনো-ক্লাবের দায় থেকে রেহাই পাওয়ার টোপ থাকলে রাশেদ খান মেনন আবারো বদলে যেতে পারেন। এমনকি এটাও বলতে পারেন যে, জনগন যে ২০১৮ সালে ভোট দিতে পারেনি এর দায় পুরোপুরি বিএনপির।
তার এমন স্ট্যাটাসে অনেকেই মন্তব্য করেছেন। তাদের মধ্য থেকে কয়েকজনের মতামত তুলে ধরা হলো।
মো. আব্দুল্লাহ লিখেছেন, অতীত তার বড় প্রমাণ… মন্ত্রী হওয়ার আগ পর্যন্ত নিন্দার ঝড় তুলে মন্ত্রিত্ব…. পরে সরকারের সাফাই গেয়েছেন… এমন পল্টিবাজদের বহিষ্কার করা উচিত।
গোলাম কিবরিয়া বলছেন, আল্লাহ এভাবেই সত্যকে যুগে যুগে উন্মোচন করে দিয়েছেন, যা অন্য কারো পক্ষেই উন্মোচন সম্ভব হয়নি।
সাফিকুল ইসলাম সইকত লিখেছেন, অলরেডি মেনন সাহেব বলা শুরু করেছেন তার বক্তব্য নাকি ভিন্নভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। উনি বক্তব্যটা কি মারাঠি ভাষায় দিয়েছিলেন নাকি তেলেগু ভাষায় দিয়েছিলেন?
উল্লেখ্য, গত শনিবার বরিশালে ওয়াকার্স পার্টির জেলা সম্মেলনে রাশেদ খান মেনন বলেন, বাংলাদেশের ওয়াকার্স পার্টির সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন এমপি বলেছেন, আমি ও প্রধানমন্ত্রীসহ যারা নির্বাচিত হয়েছি- আমাদের দেশের কোনো জনগণ ভোট দেয়নি। কারণ ভোটাররা কেউ ভোটকেন্দ্রে আসতে পারেনি।
আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের শরিক দলের এ সভাপতি বলেন, আজ দেশের ভোটাধিকার হরণ করেছে সরকার। সরকার দেশব্যাপী উন্নয়নের রোল মডেল করেছে দেশ-বিদেশে প্রশংসিত হচ্ছে। কিন্তু উন্নয়নের নামে দেশের গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে। উন্নয়নের নামে আজ দেশের মানুষের মত প্রকাশের স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে সরকার। তাই কেউ মুখ খুলে মত প্রকাশ করতে পারে না।
রাশেদ খান মেনন বলেন, বিগত সরকারের প্রধান খালেদা জিয়া ও তার হাওয়া ভবনে বসে দুর্নীতি-লুটপাঠ করার কারণে কেউ সাজা ভোগ করছে, অন্যরা পালিয়ে গেছে। বর্তমানে সরকারে থেকে যারা দুর্নীতি-লুটপাটসহ বিদেশে অর্থপাচার করছে তাদের বিচার করবে কে? কে নেবে তাদের অর্থের হিসাব?
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা দুর্নীতিবাজ-লুঠেরাদের আড়াল করে যতই শুদ্ধি অভিযান চালান, তাতে কিছুই হবে না।
মেনন বলেন, আমাকে ১৪ দলের পক্ষ থেকে নৌকা প্রতীক দিয়েছে তাদের প্রয়োজনে। আমার মন্ত্রিত্বের জন্য কোনো ক্ষোভ নেই। ওয়ার্কার্স পার্টি সব সময়ে অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলেছে এবং সব সময় বলে যাবে।
প্রধান অতিথি রাশেদ খান মেনন আরও বলেন, বর্তমান সরকার ২০০৮ সালে গণতন্ত্রের কথা বলে ক্ষমতায় গিয়ে তারাই আজ এ দেশের গণতন্ত্রকে গলা কেটে হত্যা করেছে। এ কারণেই সারা দেশের রাজনীতির অবক্ষয় হয়েছে। যার কারণে দুর্নীতির আসল স্থান নিবৃত্ত রয়েছে। দেশের ৪ কোটি মানুষ এখনও দারিদ্র্যসীমায় বাস করছে। এ সব কৃষক-ক্ষেতমজুর ও শ্রমজীবী মানুষের জন্য দেশে পেনশন স্কিম চালু করার দাবি জানান তিনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।