জুমবাংলা ডেস্ক : ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার সময় বাড়ানো হবে না। আগামী ৩১ জানুয়ারিই বাণিজ্য মেলার পর্দা নামছে বলে জানা গেছে।
মেলার শেষ মুহূর্তে এসে দর্শনার্থীর চেয়ে ক্রেতার সংখ্যাই বেশি। প্রতিষ্ঠানগুলোও ক্রেতাদের আকর্ষণ করতে পণ্য মূল্যে ব্যাপক ছাড় দিচ্ছে। এতে বিক্রি যেমন বেড়েছে, তেমনি ক্রেতারাও খুশি মনে তাদের পছন্দের পণ্য কিনছেন।
গতকাল শনিবার মেলায় গিয়ে দেখা যায়, স্টলগুলোতে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। এমনিতেই ছুটির দিনে মেলায় ক্রেতা-দর্শনার্থীদের ভিড় বাড়ে। তবে মেলা এখন শেষের দিকে হওয়ায় এতদিন যারা মেলা ঘুরে দেখেছেন তারা এখন কেনাকাটায় ব্যস্ত। বিভিন্ন স্টলের বিক্রয়কর্মীরা জানিয়েছেন, গত শুক্রবার ও গতকাল শনিবার দুই দিনই তাদের আশার চেয়ে বেশি বিক্রি হয়েছে। এখন স্টলে যারাই ঢুকছেন তারা সবাই কিছু না কিছু কিনছেন।
আখতার ফার্নিচারের বিক্রয়কর্মী জামালউদ্দীন বলেন, শেষ মুহূর্তে মেলার সব দর্শনার্থীই যেন ক্রেতা হয়ে গেছেন। প্রত্যেকেই নিজ নিজ পছন্দের পণ্য ক্রয় করেছেন। মাতৃ ফ্যাশনের স্বত্বাধিকারী ইউনুস আলী বলেন, ব্লেজার ও কোট ৫০ ভাগ ছাড়ে বিক্রি করা হচ্ছে।
এম এন অ্যান্ড ফ্যাশনের বিক্রয় প্রতিনিধি জহিরুল ইসলাম বলেন, টি-শার্ট, জুতা ৩০ থেকে ৪০ ভাগ ছাড়ে বিক্রি করা হচ্ছে। আর এফএলের বিক্রয়কর্মী সামিউল হাসান বলেন, হটপট একটি কিনলে একটি ফ্রি ছাড়ে বিক্রি হচ্ছে। বাচ্চাদের খেলনায়ও ২০ ভাগ ছাড়ে বিক্রি করা হচ্ছে। এ ছাড়া ইলেকট্রনিক্স পণ্যে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ২০ থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দিচ্ছে। ফার্নিচারের স্টলগুলো ৫ থেকে ২৫ শতাংশ ছাড়ে পণ্য বিক্রি করছে। যমুনা ইলেকট্রনিক্সের ব্যবস্হাপক মোহাম্মদ সামী বলেন, মেলার শেষ মুহূর্তে বিশেষ ছাড় দেওয়ায় দেদার পণ্য বিক্রি হচ্ছে। তাতে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ই খুশি।
মেলার পার্শ্ববর্তী এলাকার গৃহবধূ সাথী আক্তার গতকাল মেলায় এসেছেন। তিনি বলেন, ‘করোনার আতঙ্কে এতদিন মেলায় আসিনি। আজই প্রথম এসেছি। মূল্য ছাড়ে পছন্দের পণ্য কিনেছি।’ মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া থেকে আসা গৃহবধূ হালিমা খাতুন বলেন, ‘এ পর্যন্ত চার থেকে পাঁচ দিন মেলায় এসেছি। তবে এতদিন কিছু কিনিনি। আজ পছন্দের পণ্য কিনেছি।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।