গোপাল হালদার, পটুয়াখালী: পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতের ফ্রাই মার্কেট মানেই রকমারি মাছের দেখা। বিভিন্ন সাইজ ও জাতের সামুদ্রিক মাছ দেখা যায় এখানে। তবে এবার দেখা মিললো সামুদ্রিক মেলো মেলো প্রজাতির শামুকের। নতুন এ শামুক অনেকে শখ করে খাচ্ছেন।
ফিশ ফ্রাই মার্কেটের আ. রশিদ নামের এক দোকানির কাছে শনিবার (১ এপ্রিল) রাতে এমন বেশ কিছু শামুক বিক্রি করতে দেখা যায়।
দোকানি রশিদ বলেন, ‘মেলো মেলো শামুকগুলো গভীর সমুদ্র থেকে আসা এক জেলের কাছ থেকে ৭০০ টাকা কেজি ধরে কিনেছি। এগুলোর ওজন ৮০০-১৪০০ গ্রাম। এগুলো এই মার্কেটে আমিই প্রথম এনেছি। তবে এখন পর্যন্ত ২-৩টা বিক্রি করতে পেরেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘এটাকে খাওয়ার উপযুক্ত করতে অন্য মাছ থেকে একটু আলাদাভাবে প্রক্রিয়াজাত করতে হয়। তাহলে স্বাদ পাওয়া যায়। পর্যটক বাড়লে এটার চাহিদাও বাড়বে আশা করি। এক হাজার টাকা কেজি দরে এ শামুক বিক্রি করছি।’
খুলনা থেকে সাইদুল ইসলাম নামের এক পর্যটক বলেন, দুই থেকে তিনবার কুয়াকাটা এসেছি। কুয়াকাটা আসলে সমুদ্রের পারে সন্ধ্যার পরে ফ্রাই খেতে আসি। সব সময় এসে সমুদ্রের বিভিন্ন প্রজাতির মাছ খেয়েছি। সেগুলো বেশ সুস্বাদু ছিল। আজ এসে হঠাৎ মেলো মেলো শামুক দেখলাম। এটা নাকি খেতে সুস্বাদু তাই অর্ডার করলাম।
সমুদ্রের নীল অর্থনীতি ও জীববৈচিত্র্য নিয়ে কাজ করা গবেষণা প্রতিষ্ঠান ওয়ার্ল্ডফিশের ইকোফিশ-২ বাংলাদেশ প্রকল্পের সহযোগী গবেষক সাগরিকা স্মৃতি জুমবাংলাকে বলেন, এটার বৈজ্ঞানিক নাম মেলো মেলো। সাধারণ নাম ভারতীয় ভোলুট বা বেইলার শেল। এটি খুব বড় ভোজ্য সামুদ্রিক শামুক। বিভিন্ন দেশের খাবারের তালিকায় এটা বেশ প্রসিদ্ধ। এটা সামুদ্রিক প্রজাতির হলেও সচরাচর কম পাওয়া যায়।’
কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা জুম বাংলা’কে জানান, গভীর সমুদ্রের মেলো মেলো প্রজাতির শামুক ভারত ও মিয়ানমারে পাওয়া যায়। বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে কিছু পাওয়া গেলেও আমাদের এ অঞ্চলে এগুলো একদমই পাওয়া যায় না। যেগুলো পাওয়া গেছে এগুলোই প্রথম।’
তিনি আরও বলেন, গভীর সমুদ্রের ভোলুট শামুক মুক্তা উৎপাদন করতে বেশ পরিচিতি। এ শামুক দিয়ে তৈরি মুক্তা ঝিনুকের মুক্তার মতো। এর দাম অনেক বেশি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।