মেসিকে নিয়ে নেইমারকে জবাব দিলেন এমবাপে

এমবাপে

পিএসজির আক্রমণভাগে একসঙ্গে দুটি মৌসুম খেলেছেন লিওনেল মেসি, নেইমার জুনিয়র ও কিলিয়ান এমবাপে। প্রতিপক্ষের জন্য ভয়ঙ্কর হতে পারতেন এই আক্রমণত্রয়ী। তবে দুই সিনিয়র তারকা মেসি-নেইমারের সঙ্গে এমবাপের বিরোধ সেই সম্ভাবনার বিনাশ ঘটায়। এমনকি মেসির প্রতি ফরাসি তারকা ‘ঈর্ষান্বিত’ ছিলেন বলেও মন্তব্য করেছেন ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার। যা নিয়ে নেইমারকে জবাব দিয়েছেন এমবাপে।

এমবাপে

গত সপ্তাহে স্বদেশি কিংবদন্তি রোমারিও’র সঙ্গে একটি পডকাস্ট অনুষ্ঠানে ক্যারিয়ারের নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন নেইমার। সাবেক পিএসজি সতীর্থকে নিয়ে তিনি বলেন, ‘সে (এমবাপে) বিরক্তিকর নয়। তার সঙ্গে আমার কিছু বিষয় ছিল। ছোটখাটো ঝগড়াও হয়েছিল, যদিও (পিএসজিতে) যোগদানের শুরুতে বিষয়টি ছিল অন্যরকম। আমি তাকে ‘‘গোল্ডেন বয়’’ বলে ডাকতাম।’

মেসির আগমনের পরই এমবাপের সঙ্গে সম্পর্কের মাঝে ‘ঈর্ষাকাতরতা’ চলে আসে বলে জানান নেইমার, ‘আমি সবসময় তার (এমবাপে) সঙ্গে মিলে খেলতাম, বলেছিলাম সে (ভবিষ্যতে) বিশ্বসেরাদের একজন হবে। আমিও তাকে (ম্যাচে) সহায়তা করতাম, কথা বলতাম, সেও আমার বাসায় আসত, একসঙ্গে রাতের খাবারও খেয়েছি। বেশ কয়েক বছর আমাদের মাঝে ভালো বোঝাপড়া ছিল, কিন্তু মেসি আসার পর সে ঈর্ষা করতে শুরু করে। সে আমাকে কারও সঙ্গে ভাগাভাগি করতে চায়নি (হাসি)। এরপর কিছু বিবাদ এবং তার আচরণও বদলে যেতে থাকে।’

পিএসজি ছেড়ে তিনজনই এখন ভিন্ন ভিন্ন ঠিকানায়। মেসি আমেরিকান সকার ক্লাব ইন্টার মায়ামি, নেইমার সৌদি আরবের আল-হিলালে এবং এমবাপে রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দিয়েছেন। স্প্যানিশ ক্লাবটিতেই এখন পূর্ণ মনোযোগ বলে জানালেন এমবাপে। মেসির প্রতি ঈর্ষাকাতরতা প্রসঙ্গে ব্রাজিলের টিএনটি স্পোর্টসকে তিনি বলেন, ‘এমন (ঈর্ষা) কিছু নয়, সত্যিকার অর্থে আমার বলার মতো কিছু নেই। রিয়াল মাদ্রিদেই এখন আমার পুরো মনোযোগ। নেইমারের জন্যও আমার অনেক সম্মান রয়েছে।’

ব্রাজিল ফরোয়ার্ডের করা মন্তব্য নিয়ে এমবাপে আরও বলেন, ‘আমি নেইমারের ব্যাপারে অনেকবারই বলেছি, তবে আমি ইতিবাচক থাকতে চাই। তিনি ফুটবল ইতিহাসের ব্যতিক্রমী একজন খেলোয়াড় এবং প্যারিসে আমরা একসঙ্গে স্মরণীয় সময় কাটিয়েছি। এখন আমি মাদ্রিদে, এখানকার মুহূর্তগুলো উপভোগ করতে চাই। নেইমার, তার পরিবার ও সকল বন্ধুদের জন্যও শুভকামনা।’

৭ টেলিকম প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিল

২০১৭ সালে আরেক ফ্রেঞ্চ ক্লাব মোনাকো থেকে পিএসজিতে যোগ দেন এমবাপে। একই বছরের নভেম্বরে নেইমার দলবদল বাজারের বিশ্বরেকর্ড গড়ে ২২২ মিলিয়ন ইউরোতে ফরাসি ক্লাবটিতে নাম লেখান। পিএসজির লক্ষ্য ছিল– বড় তারকাদের সমন্বয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রথম শিরোপা জয়। কিন্তু তাদের মাঝেই লেগেছিল ইগোর যুদ্ধ। বার্সেলোনা থেকে ২০২১ সালে ফ্রি এজেন্ট হিসেবে ফরাসি ক্লাবটিতে যোগ দেন মেসি। নেইমারের ভাষ্য– এরপর থেকেই নাকি আর্জেন্টাইন মহাতারকাকে নিয়ে ‘ঈর্ষাপরায়ণ’ হয়ে ওঠেন এমবাপে। পরে ২০২৩ সালে মেসি-নেইমার দুজনই প্যারিসের ক্লাব ছেড়ে যান।