মেসির জোড়া গোলে ট্রফি জিতলেন, কিন্তু এ আবার কেমন ট্রফি

স্পোর্টস ডেস্ক : নাম সাপোর্টার্স শিল্ড। শুনতেই মনে হতে পারে, এটাও আবার একটা শিরোপা!

লিওনেল মেসির জোড়া গোলে আজ কলম্বাসের মাঠে ২-৩ গোলে জিতেছে ইন্টার মায়ামি, তাতে সাপোর্টার্স শিল্ডও জিতে নিয়েছে। আর্জেন্টাইন মহাতারকা তো ফুটবল ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ট্রফি জেতা খেলোয়াড় বনে গিয়েছিলেন আগেই, এ ট্রফিটা তাঁর ক্যারিয়ারের ৪৬তম।

কিন্তু ট্রফিটা মেসির ইন্টার মায়ামি জেতার পর থেকেই আলোচনা উঠেছে – এ আবার কেমন ট্রফি!

সহজ ভাষায় বললে, যুক্তরাষ্ট্রের লিগের ‘চ্যাম্পিয়ন’ হয়েছেন মেসিরা, সেটিরই স্বীকৃতি এই সাপোর্টার্স শিল্ড। যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকারের নিয়মকানুন তো বেশ প্যাঁচানো, ইউরোপের লিগগুলোর মতো সহজে মৌসুম শেষে সবার ওপরে থাকা দলকে লিগ চ্যাম্পিয়ন ঘোষণার রেওয়াজ নেই সেখানে। লিগের শিরোপা কারা জিতছে, সেটি নির্ধারণের জন্য এমএলএসে নিয়মিত লিগের পর নকআউটভিত্তিক টুর্নামেন্ট ‘এমএলএস কাপ’ হয়, যেখানে এমএলএসের দুই কনফারেন্স (ইস্টার্ন ও ওয়েস্টার্ন, মেসির মায়ামি ইস্টার্ন কনফারেন্সের অংশ) থেকে ১৮টি দল অংশ নেয়।

তবে এমএলএস কাপ তো নকআউট টুর্নামেন্ট, আর নকআউটে যেকোনো কিছুই হতে পারে। তাহলে লিগ পর্বে সেরা দলের কোনো পুরস্কার থাকবে না? থাকে, সেটিই হচ্ছে সাপোর্টার্স শিল্ড – যেটিকে ইউরোপিয়ান লিগের চ্যাম্পিয়নের সমতুল্য বলা যেতে পারে। ইস্টার্ন ও ওয়েস্টার্ন – দুই কনফারেন্স মিলিয়ে পয়েন্ট তালিকারই সেরা দলকে এ ট্রফি দেওয়া হয়।

কলম্বাসের বিপক্ষে জয়ের মাধ্যমে আজ নিশ্চিত হলো, দুই কনফারেন্স মিলিয়ে সবার ওপরে থাকছে ইন্টার মায়ামি। এ মুহূর্তে ৩৪ ম্যাচের লিগ পর্বে আর দুই ম্যাচ বাকি, এ অবস্থায় ইন্টার মায়ামির পয়েন্ট ৬৮, আর দুই কনফারেন্স মিলিয়ে পয়েন্ট তালিকার দুই নম্বরে থাকা দল ওয়েস্টার্ন কনফারেন্সের এলএ গ্যালাক্সির পয়েন্ট ৩২ ম্যাচে ৬১। অর্থাৎ, বাকি দুই ম্যাচে মেসির মায়ামিকে পেছনে ফেলতে পারবে না এলএ গ্যালাক্সি। ফলে সাপোর্টার্স শিল্ড জেতা হয়ে গেল মায়ামির!

২০২০ সালে এমএলএসের অংশ হয়ে যাওয়া ইন্টার মায়ামির ইতিহাসের প্রথম সাপোর্টার্স শিল্ড এটি, সব মিলিয়ে ক্লাবটির দ্বিতীয় শিরোপা। গত মৌসুমে মেসি যোগ দেওয়ার পরপরই লিগ কাপ জিতেছিল তারা।

ডিসি নিয়োগে লেনদেনের অভিযোগ তদন্তে কমিটি

গত মৌসুমে লিগ কাপ জেতানোর পথে আলো ছড়ানো মেসি আজ মায়ামির সাপোর্টার্স শিল্ড নিশ্চিত করার পথেও ছিলেন দারুণ ছন্দে। ৪৫ মিনিটে দলের প্রথম গোলটি করলেন, প্রথমার্ধেরই যোগ করা সময়ে আরেকটি। দুটি গোলই দারুণ। ইয়োর্দি আলবার লম্বা পাস ধরে দুই প্রতিপক্ষের ফাঁক গলে প্রথমটি, দ্বিতীয়টি দারুণ ফ্রি কিকে। মায়ামির তৃতীয় গোলটি লুইস সুয়ারেসের।

লিগে এবার মায়ামিকে টেনেছেনও মূলত এ দুজনই। চোটে লম্বা সময় মাঠে না থাকলেও মেসি ১৬ ম্যাচ খেলেই মায়ামির দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা ও সর্বোচ্চ অ্যাসিস্ট করা খেলোয়াড়। তাঁর গোল ১৭টি, গোল করিয়েছেন আরও ১৫টি। আর মেসি চোটে থাকার সময়ে মূলত ইন্টার মায়ামিকে টেনে নিয়ে যাওয়া সুয়ারেস গোল করেছেন ১৮টি। লিগে মায়ামি মোট গোল করেছে ৭২টি, তার ৩৫টিই মেসি-সুয়ারেসের।