স্পোর্টস ডেস্ক : রিয়াল মাদ্রিদের কোচ থাকাকালীন নিয়মিতই মেসিকে প্রতিপক্ষ হিসেবে পেতেন মরিনহো। অন্য ক্লাবের হয়েও চ্যাম্পিয়নস লিগে মেসির মুখোমুখি হতে হয়েছে তাকে। বহুবার লিওনেল মেসিকে থামানোর ছক কষতে হয়েছে হোসে মরিনহোকে। আর এটাই তাকে সেরা কোচ বানাতে সহায়তা করেছে বলে জানালেন মরিনহো।
মরিনহো বলেন, ‘আমি আগেও বলেছি আমি খেলোয়াড়দের কাছে কৃতজ্ঞ এবং যারা আমার খেলোয়াড় ছিল না তাদের কাছেও। এমনকি যারা আমার জন্য সমস্যা তৈরি করেছিল তাদের কাছেও।’
মেসির প্রসঙ্গে পর্তুগিজ কোচ বলেন, ‘উদাহরণস্বরূপ, মেসি আমার দলের জন্য কখনোই খেলেনি, কিন্তু সে আমার বিপক্ষে খেলেছে এবং সে আমাকে আরও ভালো কোচ বানিয়েছে। কারণ তাকে থামানোর জন্য আমাকে অনেক প্রস্তুতি নিতে হয়েছে। শুধু মেসি কেন, আরও যেসব বিখ্যাত খেলোয়াড়দের মুখোমুখি হয়েছি আমি তাদের কথাও বোঝাতে চেয়েছি।’
মরিনহো বলেন, ‘সেখানে (রিয়ালে) আমার তিনটি ভালো বছর কেটেছে। অবশ্যই ওই সময়টা কঠিন আর সমস্যাসঙ্কুল ছিল, কিন্তু এটাই পেশাদারী জীবন। ‘এটা মোটেই সহজ ছিল না। সেখানে আমার দারুণ কিছু স্মৃতি আছে। আমি যখন ছিলাম তখন রিয়ালের জন্য কঠিন সময় অতিবাহিত হচ্ছে। এটা সেই সময় যখন বার্সেলোনা প্রাধান্য বিস্তার করেছিল।’
রিয়াল অধ্যায় নিয়ে কথা বলতে গেলে স্বাভাবিকভাবেই চলে আসে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর নাম। ২০১০ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত পর্তুগিজ উইঙ্গারের সঙ্গে কাজ করেছেন মরিনহো। তাদের সম্পর্কও ছিল দারুণ। যদিও শেষটা মধুর হয়নি।
সাবেক শিষ্যকে নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে মরিনহো বলেন, ‘রোনালদো একজন ফেনোমেনন। সে এমন একজন যে শুধুই জিততে আর খেলায় উন্নতি করায় মনোযোগী। সে যা করছে তা আমাকে মোটেই অবাক করে না। ৩৪ বছর বয়সেও সে শীর্ষ দলের শীর্ষ খেলোয়াড়। সে এক কেস স্টাডি, শারীরিক ও মানসিক দু’ভাবেই।’
আরও অনেক বছর খেলা চালিয়ে যাওয়ার কথা প্রায়ই বলেন রোনালদো। সাবেক ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড কোচ নিজেও এমনটাই মনে করেন, ‘আমি মনে করেই রোনালদোর বয়স যখন ৫০ হবে, সে ঘরেই থাকবে আর ফিফা তাকে কিংবদন্তিদের খেলায় অংশ নিতে আমন্ত্রণ জানাবে। সে ওই ম্যাচে খেলবে এবং গোলও করবে। এটা সবসময়ই এমনই থাকবে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।