লাইফস্টাইল ডেস্ক : প্রেমিক বা প্রেমিকার সঙ্গে, অথবা কোনও বন্ধুর সঙ্গে প্রবল ঝগড়া হয়েছে। সাধারণ মেসেজ, বা হোয়াটসঅ্যাপে লিখে লিখে ঝগড়া করছেন। কিন্তু তাতে ঝগড়া বাড়ে বই কমে না। কারণ লিখে ভাব প্রকাশ করা গেলেও, গলার স্বরের ওঠানামা বোঝানো যায় না। ফলে অন্যজনের কাছে কোনও কথার অর্থ আলাদাও হতে পারে। আর তা থেকে বাড়তে পারে ভুলের বোঝাবুঝি।
কী সমস্যা হতে পারে?
১) অন্যজন কীভাবে কথা বলছেন, তা বোঝা যায় না। যার সঙ্গে কথা বলছেন, তার প্রকৃত অনুভূতি বোঝা সম্ভব নয়। যেভাবেই লেখা হোক না কেন সেটা উল্টোদিকের মানুষের কাছে অন্যভাবে পৌঁছতে পারে।
২) মুখোমুখি বাক্যালাপ হলে উভয়ের অনুভূতি বোঝা সম্ভব হয়। ফলে দূরত্বের কারণও দ্রুত দূর করা সম্ভব হয়।
৩) যেহেতু চ্যাটে কেউই অন্যজনকে দেখতে পারছেন না, তাই স্বভাবতই তাঁদের অনুভূতি বুঝতে পারছেন না। ফলে আসল সমস্যার কারণ তুলে ধরে আলোচনা না করলে সমাধান বেরবে না। ফলে চ্যাট এড়িয়ে যাওয়ার একটা সম্ভাবনা থেকেই যায়।
৪) খুব রেগে গিয়ে ‘মেসেজ’ করার পর উত্তর না পেলে হতাশ লাগে। হতে পারে উল্টোদিকের মানুষটি কোনও কাজে ব্যস্ত আছেন। তিনি মেসেজ দেখার জন্য সময় করতে পারেননি। কিন্তু রাগের সময় সেসব খেয়াল থাকে না। ফলে তখন অনেক খারাপ কথাও লিখে ফেলতে পারেন।
৫) ঝগড়ার পর যখন সমাধান সূত্র বেরিয়ে আসে, সম্পর্ক স্বাভাবিক হয়, তখনও ‘টেক্সট’য়ের মাধ্যমে মনের ভাব ঠিকভাবে প্রকাশ করা যায় না। এমনকী কোনও ‘ইমোজি’ বা ‘হার্ট সাইন’ দিয়েও সেই অনুভূতি প্রকাশ সম্ভব হয় না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।