লাইফস্টাইল ডেস্ক : ব্যস্ত জীবনে স্বস্তি আর সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করছে রেডি রুটি। এখন বিভিন্ন হল ও মেসে থাকা ছাত্র-ছাত্রী, ব্যাচেলরদের কাছে প্রিয় রেডি রুটি। আছে স্বাস্থ্যগুণও। পুষ্টিবিদ আখতারুন নাহার আলোর সঙ্গে কথা বলে লিখেছেন আতিফ আতাউর।
অনেক স্বপ্ন আর আশা নিয়ে উচ্চশিক্ষার উদ্দেশ্যে গ্রাম ছেড়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছেন রাকিব হাসনাত। অন্য অনেকের মতোই আসনস্বল্পতার কারণে প্রথম বর্ষে হলে উঠতে পারেননি। থাকেন মুগদার একটি মেসে। এখানে রাকিবের মতোই আরো জনাদশেক বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া শিক্ষার্থী একসঙ্গে থাকেন। দিনে দুই বেলা একজন বুয়া এসে রান্না করে দিয়ে যান। যেদিন আসেন না সেদিন খুবই ঝামেলা হয় খাওয়া নিয়ে। কলা, পাউরুটি অথবা চা, বিস্কুট দিয়ে সারতে হয় সকালের নাশতা। নইলে সকালে না খেয়েই চলে যেতে হয় বিশ্ববিদ্যালয়ে। দুপুরে ক্যান্টিনে খেতে পারলেও রাতের জন্য শুরু হয় আরেক দুশ্চিন্তা।
কিছুদিন আগে পত্রিকা পড়তে গিয়ে রেডি রুটির খোঁজ পান রাকিব। পত্রিকায় ছাপা বিজ্ঞাপন দেখে দোকান থেকে কিনে আনেন রুটি। এর পর থেকেই খিদে নিয়ে অথবা বুয়া না এলে আর বেগ পেতে হয় না তাঁকে। রাকিব বলেন, ‘এখন তো আগে থেকেই রেডি রুটি কিনে রাখি। ব্যাগেও এক প্যাকেট রেখে দিই। কয়েক দিন পর্যন্ত মেয়াদ থাকে বলে নষ্ট হওয়ার চিন্তাও করতে হয় না।’
আজিমপুরের একটি মেসে থাকা চাকরিজীবী ব্যাচেলর জালাল আহমেদও জানালেন রেডি রুটি নিয়ে তার স্বস্তির কথা। একটি কম্পানির সেলস ডিপার্টমেন্টে চাকরি করেন বলে সময় পান খুব কম। বুয়ার রান্না খুব একটা পছন্দ নয় বলে নিজেই রেঁধে খান। মাঝে মাঝে রাতে ফিরতে দেরি হলে বা ক্লান্ত লাগলে রান্না করতে ইচ্ছা হয় না। তখন দোকান থেকে রেডি রুটি নিয়ে ফেরেন। এরপর ডিম পোচ, নয়তো মধু দিয়ে সেরে ফেলেন রাতের খাবার। জালাল বলেন, ‘সত্যি বলতে কী, রেডি রুটি আমাদের মতো ব্যাচেলরদের খুবই স্বস্তি এনে দিয়েছে। এখন নিয়মিতই রুটি খাই। এতে রান্নার সময় বাঁচাতে পারছি, সেই সময়টা নিজেকে দিতে পারছি।’
হল ও মেসে থাকা ছাত্র-ছাত্রী ও চাকরিজীবীদের জন্য রেডি রুটি খিদের বড় এক সমাধান বলে জানালেন পুষ্টিবিদ আখতারুন নাহার আলো। তিনি বলেন, ‘যারা হলে কিংবা মেসে থাকেন তাঁদের খাবার নিয়ে বিভিন্ন অসুবিধার কথা আমরা কমবেশি অনেকেই জানি। আমাদের কাছেও অনেক রোগী আসেন, যারা নানা ঝামেলায় নিয়মিত খাবার খেতে পারেন না বলে বিভিন্ন অপুষ্টিতে ভোগেন। রান্না করতে সময় লাগে। বুয়া সকালে না এলে দেখা যায় অনেকেই না খেয়ে থাকেন বা চা-বিস্কুট খেয়ে দুপুরের জন্য অপেক্ষা করেন। এটা ঠিক নয়। সকালে সবচেয়ে ভালো খাবার খাওয়া জরুরি। এ জন্য তারা এখন রেডি রুটি খেতে পারেন বা এ রকম কোনো অসুবিধা হলে আগে থেকেই রেডি রুটি কিনেও রাখতে পারেন, অভুক্ত থাকতে না হয়।
কারণ এক বেলা অভুক্ত থাকলে আমাদের শরীরের বিপাকচক্রে তার বিরূপ প্রভাব পড়ে। এ ছাড়া রেডি রুটিতেও ঘরে তৈরি রুটির মতোই অন্য সব গুণ বিদ্যমান।
এ জন্য তারা কোনো বেলা খাবার রান্না না হলে রেডি রুটি খেতে পারেন। আবার চাইলে নিয়মিতও সকালে বা রাতে রুটি খেতে পারেন।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।