জুমবাংলা ডেস্ক : তিন মাস আগে বিয়ে হয়েছিল শিরিনা খাতুনের (২২) ও স্বামী শামীম আহম্মেদের (৩০)। কিন্তু হাতে বিয়ের মেহেদীর রং উঠার আগেই তিনি চলে গেলেন পৃথিবী ছেড়ে।
পূর্ব পরিকল্পিতভাবে বালিশচাপা দিয়ে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই অভিযোগে শিরিনার স্বামী শামীমকে গ্রেপ্তারও করেছে পুলিশ।
নিহত শিরিনা খাতুন রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার পাট্টা ইউনিয়নের আশুরহাট গ্রামের সিরাজ মিয়ার মেয়ে। তিনি রাজবাড়ী সরকারি কলেজের অনার্স তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
গ্রেপ্তার শামীম আহম্মেদ জেলা শহরের ভবানীপুর গ্রামের লালমিয়া সড়ক এলাকার বাসিন্দ।
নিহতের ভাই শাহিনুর রহমান জানান, তিন মাস আগে শিরিনার সঙ্গে শামীম আহম্মেদের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় বোনের সুখের কথা চিন্তা করে পাঁচ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, আসবাবপত্র এবং আড়াই লাখ টাকার একটি মোটরসাইকেল তারা শামীমকে দেয়। এরপরও শামীম তেমন কোনো কারণ ছাড়াই তার বোনকে নির্যাতন করত। বিষয়টা জানতে গত বুধবার তার মা আলেয়া বেগম শামীমদের বাড়ি যায়। শামীম তার মায়ের কাছে শিরিনাকে আর নির্যাতন করবে না বলে কথা দেয়। এরপর গত শুক্রবার তার মা শামিমদের বাড়ি থেকে চলে যাওয়ার পরই শামীম ঘরের মধ্যে বালিশ চাপা দিয়ে শিরিনকে হত্যা করে। ওইদিন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শামীমের বাবা ইছাহাক মোবাইল ফোনে জানায় শিরিনা সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তারা শামীমের বাড়ি গিয়ে জানতে পারে শিরিনকে হত্যা করা হয়েছে।
রাজবাড়ী থানার ওসি স্বপন কুমার মজুমদার জানান, গত শুক্রবার বিকালে তারা খবর পান এবং রাতে তারা শিরিনার মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন। শনিবার ময়না তদন্তের পর মরদেহ তার বাবার বাড়ির স্বজনদের হাতে হস্তান্তর করা হয়েছে। শামীমের পরিবারের সদস্যরা শিরিনা আত্মহত্যা করেছে বলে জানালেও প্রাথমিক তদন্তে শিরিনাকে হত্যা করা হয়েছে বলে তারা ধারণা করছেন। যে কারণে তারা শামীমকে গ্রেপ্তার করেছেন। ঘটনাটি সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছে এলাকাবাসী।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।