জুমবাংলা ডেস্ক: মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে রোগীদের সেবার পাশাপাশি রাজস্ব আদায়ের হারও বাড়ছে। জুন (২০২২) মাসে ৬ লক্ষ ৩৩ হাজার ৬৭০ টাকা রাজস্ব আদাায় হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে -রোগী ভর্তি, জরুরি ও বহির বিভাগের টিকেট ফি, কেবিন ও পেয়িং বেড, প্যাথলজি এক্স-রে, আলট্রাসনো ই সি জি ও ব্লাড ব্যাংক, এ্যাম্বুলেন্স ভাড়া, করোনা ফি আদায় বাবদ এ রাজস্ব আয় হয়েছে। এরমধ্যে খাতওয়ারি হিসেবে-জরুরি ও বহির বিভাগে চিকিৎসা ফি (টিকেট বিক্রি) হয়েছে ১ লাখ ৩৭ হাজার ৬১৫ টাকা, কেবিন ও পেয়ি বেড থেকে ৪৫ হাজার ২৫ টাকা, প্যাথলজি, এক্স-রে, আল্ট্রাসনো, ইসজি ও ব্লাড ব্যাংক থেকে ১ লাখ ৯৬ হাজার ৬০ টাকা, এ্যাম্বুলেন্স ভাড়া হিসেবে ১ লাখ ১৭ হাজার ৭শ টাকা, করোনা ফি আদায় ৩ হাজার ৯শ টাকা।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার মখলেসুর রহমান জানান- বিগত বছরের চেয়ে বর্তমানে প্রতিমাসে রাজস্ব আয় বাড়ছে। হাসপাতালে স্থানসংকুলান না হওয়ার কারণে অনেক সময় রোগীপক্ষ অন্যজেলায় স্বাস্থ্যসেবা পেতে ছুটে যায়। নতুনভবন নির্মাণ শেষ হলে রাজস্ব আয় আরও বৃদ্ধি পাবে।
মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক জামির মোহাম্মদ হাসিবুর সাত্তার জানান- বিগত মাসের থেকে রাজস্ব আদায়ের পাশাপাশি আগের চেয়ে সেবাপ্রাপ্তি রোগির সংখ্যাও বেড়েছে। জুন মাসে আন্তঃ বিভাগে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছে ৪ হাজার ১৪ জন। এরমধ্যে পুরুষ ওয়ার্ডে ১১৭৩ জন, মহিলা ওয়ার্ডে ১৮১২ জন, শিশু ওয়ার্ডে ৭৪৯ জন এবং লেবার ওয়ার্ডে ২৮০ জন। এবং বহিঃ বিভাগে চিকিৎসা নিয়েছে ২৭ হাজার ৪৩৪ জন। এরমধ্যে পুরুষ ওয়ার্ডে ১১ হাজার ৮ জন, মহিলা ১২ হাজার ১৬২ জন এবং ৪২৬৪ জন শিশু।
হাসপাতালের একটি সুত্র জানান- হাসপাতালে ডিজিটাল ক্যাশ কাউন্টার স্থাপিত হলে চিকিৎসাসেবার পাশাপাশি রাজস্ব আয় আরও বাড়বে। এজন্য হাসপাতালে সেন্ট্রাল ক্যাশ কাউন্টার স্থপন অতি প্রয়োজন হিসেবে দেখা দিয়েছে। কারণ অনেক সময় রশিদ বিহীন হাসপাতালে পরীক্ষা নিরীক্ষা হয়। ক্যাশ কাউন্টার স্থাপন হলে সেটি সম্ভব হবে না। সূত্র: বাসস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।