মো. কাউছার, ইউএনবি: নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে মেয়াদ উত্তীর্ণ গ্যাস সিলিন্ডার দিয়ে যানবাহন, হোটেল-রেস্তোরাঁ, বাসা ও গ্রামের অনেক বাড়ি-ঘরের কাজ চলছে। এতে করে অহরহ গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটছে।
বেশিরভাগ পরিবহন চালকরাই গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহারের নিয়ম-কানুন জানেন না। উল্টো তারা এসব বিষয়ে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষকেই (বিআরটিএ) দুষছেন।
তবে বিআরটিএ’র দাবি, ফিটনেস সার্টিফিকেট দেয়ার সময় যানবাহনে গ্যাস সিলিন্ডারের মেয়াদ ঠিক আছে কিনা, সে বিষয়ে যাচাই করে তারা কাগজপত্র দিচ্ছেন।
ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, পরিবহন, সংরক্ষণ, নির্ধারিত তাপমাত্রা ও নির্দিষ্ট মেয়াদ উত্তীর্ণের পরেও এসব সিলিন্ডার বাজারজাতের কারণে দুর্ঘটনা ঘটেই চলছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, লক্ষ্মীপুরে গ্যাস সিলিন্ডারের ছোট-বড় প্রায় ১৫ হাজার যানবাহন চলাচল করছে।
বেশির ভাগ যানবাহনেরই গ্যাস সিলিন্ডার মেয়াদ উত্তীর্ণ। নিয়ম মতে ৫ বছর পর পর গাড়ির সিলিন্ডার পরীক্ষা করানোর নির্দেশনা থাকলেও তা মানছে না মালিক ও চালকরা। গত এক বছরে প্রায় ১৫টি সিলিন্ডার বিস্ফোরণে প্রাণহানীর মতো ঘটনাও ঘটেছে।
অপরদিকে গ্যাস সিলিন্ডারে মেয়াদকাল সম্পর্কেই জানেন না অনেক চালক।
তাদের অভিযোগ, না জেনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চালাতে হচ্ছে তাদের। এসব বিষয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো তদারকি করা হয় না। বিআরটিএ যানবাহন না দেখে প্রতি বছর অর্থের বিনিময়ে ফিটনেস দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন চালক ও পরিবহন মালিকরা।
অভিযোগ অস্বীকার করে বিআরটিএ’র সহকারী পরিচালক ফোরকান চৌধুরী বলেন, ‘ফিটনেস করার সময় যানবাহনে গ্যাস সিলিন্ডার মেয়াদ ও রিটেস্ট টিন সার্টিফিকেট ঠিক আছে কিনা, সে বিষয়ে যাচাই করে কাগজপত্র দেয়া হচ্ছে। লোকাল যদি কোনো গ্যাস সিলিন্ডার গাড়িতে সংযোজন করা হয়, তাহলে সে সমস্ত পরিবহনকে ফিটনেস সনদ দেয়া হয় না।’
লক্ষ্মীপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক মো. ইকবাল হোসেন জানান, প্রত্যেকটি যানবাহনে গ্যাস সিলিন্ডার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে রিটেস্ট করা দরকার। সিলিন্ডারের ক্যাপাসিটি চলে গেলে সেটা পরিবর্তন করলে তা সমাধান হয়ে যায়। এ সব মেনে চললে দুর্ঘটনা কমে আসবে। সূত্র: ইউএনবি
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।