জুমবাংলা ডেস্ক : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলায়এবার মেয়ে (১৪) কে ধর্ষণের অভিযোগে লম্পট ও মানুষরুপী হায়না এক স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন স্ত্রী।
গত ৫ জুলাই উপজেলার বেতমোর ইউনিয়নের ঘোপখালী গ্রামে নীজ বাড়িতে ধর্ষণের এ ঘটনা ঘটে। সোমবার বিকেলে এ ঘটনায় মঠবাড়িয়া থানায় মামলা দায়ের করা হয়। মামলা সূত্রে জানা যায়, ঘোপখালী গ্রামের আব্দুল রব বেপারীর পুত্র ৫ সন্তানের জনক লম্পট সেলিম বেপারী (৬০) দীর্ঘদিন ধরে তার নিজের মেয়েকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। এতে সে রাজি না হয়ে প্রতিবাদ করলে পিতা মেয়েটির ওপর মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন চালায়।
গত ৫ জুলাই ওই লম্পট পিতা সেলিম মেয়েটির মাকে কৌশলে বাজার করার কথা বলে হাটে পাঠিয়ে দিয়ে একাকী ঘরে পেয়ে মুখ চেপে ধরে জোর পূর্বক ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে। পরে বাজার থেকে ফিরে এলে মেয়েটি তার মায়ের কাছে ধর্ষণের ঘটনাটি খুলে বলে। এরপর ধর্ষিতার মা বিষয়টি স্বামীর কাছে জিজ্ঞেস করিলে স্বামী সেলিম বেপারী ক্ষিপ্ত হয়ে বলে বিষয়টি কাউকে জানালে এবং মামলা-মোকদ্দমা করিলে ধর্ষিতা, ধর্ষিতার মা, দুই শিশুপুত্রকে খুন-জখম করার হুমকি প্রদর্শন করে। পরে স্বামীর অব্যাহত অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে আত্মীয়-স্বজনের সাথে আলাপ-আলোচনা করে ঘটনার ১৭ দিন পরে থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
ধর্ষিতা মেয়েটি স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের জানান, বাবা এর আগেও আমাকে চাকুরীর কথা বলে চট্টগ্রামে নিয়ে আমার ওপর পাশবিক নির্যাতন করে। পরে আমি আত্মহত্যা করার হুমকি দিলে আমার ওপর মানসিক নির্যাতন চালায়।
মঠবাড়িয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাসান মোস্তফা স্বপন পিতা কর্তৃক মেয়ে পাশবিক নির্যাতনের শিকার এর বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মেয়েটির ডাক্তারী পরীক্ষা জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে সম্পন্ন হয়েছে। আসামী লম্পট সেলিম বেপারিকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশী অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।