জুমবাংলা ডেস্ক : কিশোরগঞ্জের ভৈরবের কালিকা প্রসাদের ঝগড়ারচর গ্রামে বৃহস্পতিবার (৯ এপ্রিল) সকাল ১০ টায় জামাই কতৃক বউকে পেটানোর জেড়ে জামাইয়ে বাড়িতে হামলা শ্বশুপক্ষের। এ সময় বিয়াই আমজিদ ও জামাই ফালুমিয়া সহ তার পরিবারের ৮ জনকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে তারা। এ ঘটনার খবর পেয়ে ভৈরব থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে পুলিশের সহয়াতায় আহত দুই বিয়াই ও ৫ মহিলাসহ ১০ ভৈরবকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
জানা যায়, কালিকাপ্রসাদের ঝগড়ারচর গ্রামের লালমিয়ার মেয়ে রোজিনার সাথে ২২ বছর আগে বিয়ে হয় একই গ্রামের আমজিদের ছেলে ফালু মিয়ার সাথে। বিবাহিত জীবনে তারা ৪ ছেলে মেয়ের জনক জননী। বিয়ের পর থেকে তাদের জীবনে নানা কারনে ঝগড়া লেগেই থাকত। গত মঙ্গলবার বাড়িতে মাটি ফেলা কে কেন্দ্র করে স্বামী-স্ত্রীর মাঝে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে, রোজিনার গায়ে হাত তুলে ফালু। এতে রোজিনা রাগ করে বাপের বাড়ি চলে যায়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার সকালে রোজিনার বড় ভাইয়ের সাথে ফালুর হাতাহাতি হয়।
এ খবর শুনে রোজিনার বাপের বাড়ির লোকজন জামাইয়ের বাড়িতে হামলা করে এলোপাতাড়ি পেটায়। এসময় বিয়াই মজিদ মিয়া জামাই ফালুসহ আটজন কে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে অপর জামাইয়ের লোকদের পাল্টা,হামলায় শশুর লালমিয়া সহ ৩ জন আহত হয়ে হাসপাতালে আসে।
শ্বশুর লালমিয়া বলেন জামাই নেশাগ্রস্থ বলে কারণ অকারণে আমার মেয়েকে মারধর করে। মঙ্গলবারে আমার মেয়ে কে মেরে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়।এ ব্যাপারে আমার ছেলে জিজ্ঞেস করতে আসলে তাকে ও মারধর করে জামাই।এ নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্য মারামারি হয়েছে।
এদিকে জামাই ফালু মিয়া ও তার লোক জন ফালুর মাদক সেবনে কথা অস্বীকার করে বলে তার মুখ খারাপ কারণে অকারণে আমার বাবা-মাকে তুলে গালাগালি করে তাই আমি হাত তুলেছি। এ কারণে আমার শ্বশুর বাড়ির লোকজন আমার বাড়িতে হামলা করে পরিবারের সবাইকে পিটিয়ে আহত করেছে।
ভৈরব থানার,অফিসার ইনচার্জ মো. শাহিন বলেন ঝগড়ার খবর শুনে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। মূলত বউ পিটানোকে কেন্দ্র করে এ ঝগড়ার সূত্রপাত।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।