আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তে কোনো প্রকার পূর্বাভাস না দিয়ে অনেকটা আকস্মিকভাবেই নিজের রাজনৈতিক জীবনের ইতি টানলেন। রাজনীতি থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। খবর রয়টার্স’র।
অবসর নেওয়ার কোনো কারণ উল্লেখ করেননি দুতার্তে। তবে দেশটির রাজনীতি বিশ্লেষকদের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, আগামী বছর ফিলিপাইনে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হবে এবং সেই নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন রদ্রিগো দুতার্তের মেয়ে সারা দুতার্তে ক্যাপিরো।
সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণে আগামী নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারছেন না দুতার্তে, কিন্তু ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে প্রার্থী হিসেবে দাঁড়ানোর সুযোগ তার ছিল।
সেই অনুযায়ী, ফিলিপাইনের নির্বাচন কমিশনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার কথাও ছিল তার; কিন্তু শনিবার নিজ দল পিডিপি-লাবান পার্টির এক সমাবেশে দুতার্তে বলেন, ‘আপনারা আমাকে যে ভালবাসা দিয়েছেন, তাতে আমি আপ্লুত; কিন্তু আমার মনে হচ্ছে, যদি আমি ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করি, তাহলে সেটি ফিলিপাইনের জনগণের আবেগে আঘাত করার মতো একটা ব্যাপার হবে।’
‘এ কারণে আমি রাজনীতি থেকে সম্পূর্ণ অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আজ আপনাদেরকে সেই সিদ্ধান্ত আমি জানালাম।’
দুতার্তে কন্যা সারা বর্তমানে ফিলিপাইনের দাভাও শহরের মেয়র পদে আছেন। গত মাসে তিনি জানিয়েছিলেন আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার পরিকল্পনা আছে তার।
ফিলিপাইনের আতেনিও দ্য ম্যানিলা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক আন্তোনিও লা ভিনা রয়টার্সকে বলেন, ‘দুতার্তে সরাসরি রাজনীতি থেকে অবসর গ্রহণ করছেন ঠিকেই, কিন্তু সারার অভিভাবক ও পরামর্শক হিসেবে আরও বহুদিন তিনি দেশের রাজনীতিতে প্রাসঙ্গিক থাকবেন।’
২০১৬ সালে ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছিলেন রদ্রিগো দুতার্তে। সাম্প্রতিক একাধিক সরকারি বেসরকারি জরিপের ফল বলছে, ফিলিপাইনের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনীতিবিদদের মধ্যে তিনি অন্যতম।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।