জুমবাংলা ডেস্ক : পাবনার সাঁথিয়ায় মেয়ের পরকীয়ার ঘটনায় বাধা দেয়ায় দুই গোষ্ঠীর রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে মা হাজেরা খাতুন (৫০) নিহত ও ৭ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (২৯ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে উপজেলার নাগমেরা ইউনিয়নের পাথাইলহাট গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, পাথাইলহাট গ্রামের প্রামানিক গোষ্ঠীর মেয়ে নাগরি খাতুন (৩২) এর সাথে সর্দার গোষ্ঠীর ছেলে নেকবার সর্দারের পরকীয়া চলছিল। এ ঘটনায় উভয় গোষ্ঠীর মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। ঘটনার দিন শুক্রবার রাত ১০টার দিকে প্রেমিকা নাগরিরের ঘরে যাওয়ার চেষ্টা করে নেকবার। এ সময় নাগরি খাতুনের মা বাধা দেন।
এ ঘটনা জানাজানির পর রাতেই উভয় গোষ্ঠীর মধ্যে বাকবিতণ্ডা ও পরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে সর্দার গোষ্ঠীর একজনের আঘাতে মুকুল প্রামাণিকের স্ত্রী হাজেরা খাতুন গুরুতর আহত হন। স্বজনেরা তাকে পার্শ্ববর্তী উপজেলা ফরিদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেলক্সে নিয়ে যান। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় আহত হন মুকুল প্রামানিক (৫৮), নাগরী খাতুন (৩২), জহুরুল ইসলাম প্রাং (৩০), মুরাদ হোসেন প্রাং (২৮), খালেক সরদার (৩৫), নওশাদ সরদার (৫০) ও নেকবার সরদার (৩০)। খালেক ও নওশাদকে পার্শ্ববর্তী বেড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পুলিশ পাহারায় তারা চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
মামলায় তাদের আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। গ্রেপ্তার অন্য আসামি হলেন খালেক সরদারের স্ত্রী শ্যামলী খাতুন (২৭)।
এ ঘটনায় নিহত হাজেরা খাতুনের ছেলে মকলেছুর রহমান শনিবার (৩০ জানুয়ারি) দুপরে বাদী হয়ে ১৪ জনকে আসামি করে সাঁথিয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান জানান, শনিবার সকালে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহ মর্গে পাঠান হয়। পুলিশ শনিবার বিকেলে অভিযান পরিচালনা করে এজাহার নামীয় ৩ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে। অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।