জনপ্রিয় বাহন মোটরসাইকেল বা মোটরবাইক। এই যানবাহনের কিছু যন্ত্রাংশের বিশেষ যত্ন দরকার হয়। সঠিক যত্ন নিতে না পারলে দ্রুত বাইকের রং এবং এর যন্ত্রাংশগুলো নষ্ট হতে শুরু করে। একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ পথ পাড়ি দেওয়ার পরে মোটরবাইকের চেইনেরও আলাদা যত্ন নিতে হয়। মোটরবাইক দীর্ঘদিন ভালো রাখতে চাইলে কতদিন পর ওয়াশ করতে হবে বা চেইন লুভ করতে কত ডিগ্রির গিয়ার অয়েল ব্যবহার করা ভালো? এসব প্রশ্নের উত্তর জেনে নিন।
১) সব সময়ে মোটরসাইকেলে দুই চাকার টায়ার প্রেসার নির্ধারিত মাত্রায় রাখতে হবে। এক্ষেত্রে প্রতি সপ্তাহে একবার টায়ার প্রেসার চেক করে রিফিল করা যেতে পারে। এতে বাইক থেকে ভালো মাইলেজ এবং চালিয়ে আরাম পাওয়া যায়। অবশ্যই টায়ার ঠান্ডা অবস্থায় প্রেসার চেক করতে হবে।
২) বাইকের চেইন সবসময় লুব্রিকেন্ট অবস্থায় রাখতে হবে এবং চেইনের স্ল্যাক নির্দিষ্ট পরিমাণে রাখতে হবে প্রতি ২০০০ কিলোমিটার পর পর পুরো চেইনকে ডিপ ওয়াশ করা যেতে পারে এবং সামনের স্প্রোকেট কভার খুলে পরিষ্কার করতে হবে। এতে মাইলেজ এবং চেইন স্পোকেট ভালো থাকে। কোনো অবস্থায় বেশি লুব করা চেইনে বাইক চালানো উচিত নয়।
৩) চেইন লুভ করতে ৯০ ডিগ্রির গিয়ার অয়েল ইউজ করা যেতে পারে অথবা ফ্রেশ ইঞ্জিন ওয়েল তবে আমাদের দেশে ধুলা বেশি হওয়াতে স্প্রে জাতীয় লুব ইউজ করলে তা চেইনকে হার্ড করে দেয়।
৪) ঘনঘন বাইক ওয়াশ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। প্রতি ১৫ দিনে একবার ওয়াশ করা যেতে পারে। কোনো অবস্থায় ইঞ্জিন গরম থাকা অবস্থায় বাইক ওয়াশ করা উচিত হবে না। ইঞ্জিন ঠান্ডা অবস্থায় ওয়াশ করতে হবে।
৫) দুই চাকার ব্রেক প্যাড সব সময়ে চেক রাখতে হবে। নাহলে ডিস্ক বা ড্রাম ক্ষয়ে যেতে পারে এতে ব্রেক ঠিক মতো হবে না এবং সব সময়ে অরিজিনাল ব্রেক প্যাড ইউজ করতে হবে। এতে ডিস্ক যেমন ভালো থাকে ব্রেকের কার্যকারিতা বজায় থাকে।
৬) নির্দিষ্ট সময়ে পরপর বাইকের ইঞ্জিন ওয়েল পরিবর্তন করতে হবে এবং সব সময়ে অরিজিনাল ইঞ্জিন ওয়েল ইউজ করতে হবে সাথে ওয়েল ফিল্টার চেঞ্জ করতে হবে এতে করে ইঞ্জিন দীর্ঘদিন ভালো থাকবে। চেষ্টা করতে হবে সময়ে একই ব্র্যান্ডের একই টাইপ এর ইঞ্জিন ওয়েল ইউজ করা। মাথায় রাখতে হবে রেকমন্ডেড ইঞ্জিন ওয়েল এর ইঞ্জিন ওয়েল ইউজ করতে হবে।
৭) প্রতি ৪-৫ হাজার কিলোমিটার পর পর বাইকের এয়ার ফিল্টারটা চেক করতে হবে। এক্ষেত্রে যদি বাতাস দিয়ে ক্লিন করা হয় তাহলে বাতাস দিয়ে পরিষ্কার করা উচিৎ। নাহলে পরিবর্তন করে ফেলা প্রয়োজন।
৮) বাইক সবসময় ছায়াযুক্ত স্থানে রাখতে পারলে দীর্ঘদিন বাইকের রং ঠিক থাকে। সরাসরি সূর্যের আলোতে রাখলে ফুয়েল বাষ্পে মিলিয়ে যায়।
৯) ফুয়েল ইঞ্জেকটেড বাইকগুলোতে ফুয়েল থাকতেই রিফিউল করতে হবে এতে ইঞ্জেক্টর অনেক দিন ভালো থাকে।
১০) সব সময়ে একই পাম্প থেকে ফুয়েলিং করতে হবে।
১১) প্রতি ৫ হাজার কিলোমিটার পর পর বাইকের প্লাগ চেক করতে হবে। দেখতে হবে গ্যাপ সঠিক আছে কিনা, নাহলে পরিবর্তন করতে হবে।
১২) বাইকের ক্লাচ লিভারের ফ্রি প্লে নির্দিষ্ট রাখতে হবে এতে করে বাইক চালাতে আরাম হবে। সব সময়ে ফুয়েল ক্লাচ সেটিং রাখলে অনেকদিন ক্লাচ প্লেট ভালো থাকে।
১৩) এছাড়াও নিয়মিত ১০ হাজার কিলো পর পর মাস্টার সার্ভিস দেওয়া যেতে পারে এতে বাইকের সকল খুঁটিনাটি সমস্যা ঠিক হয়ে যায়।
১৪) সব সময়ে বাইক মাইক্রো ফাইবার কাপড় দিয়ে মোছা উচিত এতে স্ক্রেচ পড়ে না এবং রং ভালো থাকে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।