আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আল কাব্বাসি পরিবারের ঐতিহ্য হচ্ছে জাতীয় রেকর্ড গড়া। বাবা খালিদ আল কাব্বাসি সংযুক্ত আরব আমিরাতের হয়ে ফ্রান্সে মোটর রেসিংয়ে অংশ নিয়েছিলেন। তাঁর দুই মেয়েও মোটর রেসিংয়ে পিতাকে ছাড়িয়ে গেছেন। তাঁরা এখন আমিরাতের জাতীয় আইকন। খবর খালিজ টাইমস
বড় বোন আমিনা আল কাব্বাসির বয়স ২৪। প্রথম আমিরাতি নারী রেসার হিসেবে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় নাম লিখিয়ে ইতিহাসের অংশ হন। অন্যদিকে ছোট বোন হামিদা আল কাব্বাসির বয়স ২২। কিন্তু কৃতিত্বে বড় বোনকেও ছাড়িয়ে গেছেন। প্রথম আমিরাতি কন্যা রেসার হিসেবে ইতালিয়ান ফোরে পোডিয়াম পজিশন নিশ্চিত করেন।
চলতি মাসে দুই বোন ঘোষণা দেন, তাঁরা আমিরাতভিত্তিক রেসিং গ্রুপ একসেল জিপিতে যোগ দিয়েছেন। এই গ্রুপের হয়ে তাঁরা ইতালিয়ান ফোর, ফর্মুলা রিজিওনাল মিডল ইস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ও ফর্মুলা রিজিওনাল ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নেবেন।
স্বদেশি একটি গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকারে দুই বোন জানান, তাঁরা মোটর রেসিংয়ে বৈচিত্র্য আনতে চান, নারী রেসারের সংখ্যা বাড়াতে উৎসাহ দেবেন।
দেশের ক্রীড়াজগেক চাঙা করবেন। আমিনা জানান, মোটর রেসিংয়ে আমিরাতি কন্যাদের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। তবে এই খাতে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা দরকার। তাঁর ভাষায়, ‘আমি দেখতে পাচ্ছি সৌদি আরব, কুয়েত ও কাতারসহ মধ্যপ্রাচ্যে তরুণ নারী রেসাররা পেশাদার চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নিচ্ছেন। আমিরাতের দেখাদেখি এসব দেশও যদি নারী রেসারদের সহায়তায় বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করে, তাহলে নারী রেসারদের সংখ্যা বেশ বাড়বে।’
দুই বোনই বলেন, মোটর রেসিংয়ে অংশ নিতে বেশ টাকা-পয়সা লাগে। আর্থিক পৃষ্ঠপোষকতাই সবচেয়ে জরুরি।
আমিনা বলেন, ‘আমি আমার দক্ষতার স্বীকৃতি চাই। আমি কোন লিঙ্গের, সেটা বিবেচ্য বিষয় নয়। আমি চাই নারী ও পুরুষকে সমান চোখে দেখা হোক।’ হামিদা বলেন, ‘আমার বোন এই পেশায় এগিয়ে না এলে আমি এই পেশায় জড়ানোর কথা চিন্তাও করতে পারতাম না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।