সরেজমিনে কাশ্মীরর পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে বৃহস্পতিবার সেখানে গিয়েছিলেন বিবিসি সাংবাদিকদের একটি দল। ওই দলে সামিল ছিলেন এই সংবাদ মাধ্যমের বাংলা বিভাগের সাংবাদিক শুভজ্যোতি ঘোষ-ও। তিনি দেখেছেন সেখানকার সাধারণ মানুষের চোখে মুখে বিদ্রোহের স্ফূলিঙ্গ কীভাবে জ্বলছে। তারা মোদির প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেছেন, সাহস থাকলে মাত্র আট মিনিটের জন্য কারফিউ তুলে নিন ।
সেখানকার পরিস্থিতি বর্ণনা করতে গিয়ে শুভজ্যোতি ঘোষ বলেন, ‘শ্রীনগরে পা রাখার পর ২৪ ঘন্টারও বেশি পেরিয়ে গেছে, কিন্তু মনে হচ্ছে যেন মৃত্যু উপত্যকায় এসে পৌঁছেছি। রাস্তাঘাটে একশো গজ পরপরই সেনা চৌকি আর কাঁটাতারের ব্যারিকেড। রাস্তায় সাধারণ মানুষের চেয়ে বেশি খাকি পোষাকধারীরা। গোটা কাশ্মীরে গিজগিজ করছে সেনা আর আধা সেনা। মানুষের ছোট ছোট কিছু জটলা। আমার হাতে বিবিসির মাইক দেখেই তারা এগিয়ে আসছেন কথা বলতে। ৩৭০ ধারা এবং কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা রাতারাতি বিলুপ্ত হওয়ার পর তারা কতটা বিক্ষুব্ধ, সেটা তাদের চেহারাতেই স্পষ্ট।
বুধবার যখন তিনি এয়ারপোর্টে থেকে গাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন তখন কিছু লোক বিবিসির পরিচয়পত্র দেখে তার সঙ্গে কথা বলতে এগিয়ে আসেন। এসময় তারা ভারতের নেয়া সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
বিবিসি সাংবাদিকের ভাষায়, ‘৩৭০ ধারা এবং কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের ঘটনায় তারা যেভাবে তাদের আবেগের বহিঃপ্রকাশ ঘটালেন, সেটা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়।’
তারা ওই সাংবাদিকে বলেন, পার্লামেন্টে অমিত শাহ দাবি করেছেন যে কাশ্মীরের আশি শতাংশ মানুষ নাকি এটি সমর্থন করে। তার দাবি যদি সত্যি হয় তাহলে ভারত কেন কাশ্মীরের ওপর থেকে করফিউ তুলে নিচ্ছে না।
এরপরই তারা মোদি সরকারকে চ্যালৈঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেন, সাহস থাকলে মোদি সরকার মাত্র আট মিনিটের জন্য কারফিউ তুলে নিক। তারপরই তারা দেখতে পাবে কীভাবে মানুষ রাস্তায় নামে প্রতিবাদ জানাতে।
আবার অন্যান্য কাশ্মীরিরা বলেন, মাত্র দশ মিনিটের জন্য কাশ্মীরে জারি করা কারফিউ তুলে নেয়ার হিম্মত দেখাক সরকার, তারপরই তারা দেখবে দলে দলে কত মানুষ রাস্তায় নামে এর প্রতিবাদ জানাতে।
তাদের দাবি যে সত্যি সেটি মেনে নিয়েছেন বিবিসির সাংবাদিক-ও। তিনি বলেন, সরকার এই সত্যিটা জানে বলেই গোটা কাশ্মীর উপত্যকা এভাবে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় মুড়ে দেয়া হয়েছে।
সূত্র: বিবিসি বাংলা
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।