আন্তর্জাতিক ডেস্ক : নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ), জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি) নিয়ে দেশজোড়া বিক্ষোভের আবহেই কয়েক দিন আগে মুখ খুলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দেশ জুড়ে এনআরসি করা নিয়ে কোনো কথা মন্ত্রিসভায় হয়নি বলে দাবি করেছিলেন তিনি। এবার নিজের মন্তব্য থেকে সরে এসেই মোদীর বক্তব্যকে সমর্থন করলেন অমিত শাহ-ও। মঙ্গলবার একটি সাক্ষাৎকারে তিনিও দাবি করে বসলেন, সংসদ বা মন্ত্রিসভায় দেশ জুড়ে এনআরসি করা নিয়ে এখনই কোনো আলোচনাই হয়নি। বিরোধীরাই এ নিয়ে সাধারণ মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে।
এনআরসি ও সিএএ নিয়ে বিক্ষোভের মধ্যেই এনপিআর নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। এ দিন অমিত শাহ সকল রাজ্য সরকারের কাছেই জনগণনা (এনপিআর)-র কাজ চালু করার জন্য আবেদন করেন। তাঁর দাবি, এনপিআর ইউপিএ আমলেই স্থির করা হয়েছিল। দরিদ্র মানুষের কাছে সমস্ত পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্যই এনপিআর প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন অমিত। তিনি দাবি করেন, ‘‘এনপিআরের কাজ ১০ মিনিটেই হয়ে যাবে। জন মানচিত্র ছাড়া কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের উন্নয়ন করা সম্ভব নয়। রাজ্য সরকারের মধ্যে কোনও আশঙ্কা থাকলে তা হলে তা সরিয়ে দিন। এনপিআর-এর তথ্য এনআরসি-তে ব্যবহার করা যাবে না। দু’টি প্রক্রিয়ার মধ্যে কোনও লেনদেন নেই। এনপিআর-এর জন্য কোনও নথি প্রয়োজন নেই।’’
এ দিন সাক্ষাৎকারে ঘুরে ফিরে উঠে আসে এনআরসি-র কথাই। উঠে আসে সিএএ ও এনআরসি নিয়ে দেশের একটি বড় অংশের মানুষের আশঙ্কার কথাও। সে সব প্রশ্নের উত্তরেই অমিত দাবি করেন, ‘‘দেশ জুড়ে এনআরসি হবে কি-না তা নিয়ে এখনই বিতর্কের কোনো প্রয়োজন নেই। প্রধানমন্ত্রী ঠিকই বলেছেন, এ নিয়ে মন্ত্রিসভা বা সংসদে কোনো আলোচনাই হয়নি।’’ এর আগে অবশ্য দেশ জুড়ে এনআরসি চালু করার কথা বলেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিজেই, ৯ নভেম্বর লোকসভায়।
সাক্ষাৎকারে অমিত বলেন, ‘‘আমি স্পষ্ট করে দিতে চাই যে, এনপিআর-এর মাধ্যমে কেউই নাগরিকত্ব হারাবেন না। এনপিআর-এ কারো নাম না থাকতে পারে, কিন্তু, তাতে কারো নাগরিকত্ব চলে যাবে না।’’ সিএএ ও এনআরসি নিয়ে চলা বিক্ষোভের মধ্যেই এনপিআর-এর কাজ আপাতত স্থগিত রাখারকথা ঘোষণা করেছে পশ্চিমবঙ্গ ও কেরল। ওই দুটি রাজ্যকেও এ দিন বার্তা দিয়েছেন অমিত শাহ। তিনি বলেন, ‘‘আমি দুটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকেই আবেদন করব যে এমন পদক্ষেপ করবেন না। আপনারা সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করুন। শুধু মাত্রা রাজনীতির স্বার্থে গরিবদের উন্নয়নমূলক প্রকল্পের আওতার বাইরে রাখবেন না।’’
এ দিন সাক্ষাৎকারে ডিটেনশন সেন্টার নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে অমিত শাহ দাবি করেন, ‘‘এর সঙ্গে এনআরসি অথবা সিএএ-র কোনো যোগ নেই। অনুপ্রবেশকারীদের জন্যই ওই ডিটেনশন সেন্টার তৈরি করা হয়েছে।’’ এ ব্যাপারে ভুল তথ্য ছড়ানো হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।