বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : অনেক সময়ই মোবাইল ফোন অপেক্ষাকৃত ধীর গতির বা স্লো হয়ে গেলে কিংবা বিক্রি করার আগে ফ্যাক্টরি রিসেট অপশনটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তবে কিছু ব্যাপারে সাবধানতা অবলম্বন না করলে মোবাইল থেকে হারিয়ে যেতে পারে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ফাইল, এমনকি মোবাইল ফোনটির সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
ফ্যাক্টরি রিসেট হচ্ছে মোবাইল ফোনের সব কিছু মুছে ফেলে পুনরায় নতুনের মতো করে ফেলা। মোবাইল কেনার সময় যেমন ছিল, ঠিক সেই অবস্থায় ফেরত যাওয়া। ফলে ভেতরের সব ফাইল, সেটিংস, অ্যাপস সবকিছুই হারিয়ে যাবে এবং এর কাজের গতিও বাড়বে।
তবে কিছু ব্যাপারে সতর্ক না থাকলে হিতে বিপরীত হতে পারে। মোবাইলের গতি বাড়াতে গিয়ে বরং অনেক ধরনের বিপত্তির মধ্যে পড়তে পারেন অনেকেই। তাই ফ্যাক্টরি রিসেট দেয়ার আগে অবশ্যই প্রয়োজনীয় বিষয়গুলোর দিকে লক্ষ করা দরকার।
জিমেইল অ্যাকাউন্ট পাসওয়ার্ড
অধিকাংশ ব্যক্তির ক্ষেত্রেই এমন হয়ে থাকে যে মোবাইলে ফ্যাক্টরি রিসেট দেয়ার পর তার ব্যবহৃত জিমেইল অ্যাকাউন্টটির পাসওয়ার্ড মনে করতে পারেন না। ফলে অ্যাকাউন্টটিতে নতুন করে প্রবেশ করা রীতিমতো ঝামেলায় পরিণত হয়। জিমেইল অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করতে না পারায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, গেমস এবং অন্যান্য অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করা যায় না। তাই অবশ্যই জিমেইলের পাসওয়ার্ড দেখে নিলে কিংবা ভুলে গেলে পুনরায় সেই মোবাইলের মাধ্যমেই পাসওয়ার্ড পুনরুদ্ধার করার চেষ্টা করলে সহজে সমাধান সম্ভব। তা ছাড়া পাসওয়ার্ড ভুলে গেলে পুনরুদ্ধার করার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মোবাইল রিসেট না করার জন্য অনেক বিশেষজ্ঞই পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
কন্টাক্ট নাম্বার ব্যাকআপ
মোবাইল রিসেট দেয়ার পর বা হারিয়ে গেলেও সবার আফসোসের অন্যতম জায়গা থাকে কন্টাক্ট নাম্বার ব্যাকআপ না করা। প্রয়োজনীয় সব কন্টাক্ট নাম্বার অবশ্যই সিমে বা মেইল ব্যাকআপে রেখে তারপর রিসেট দেয়া উচিত।
ফোন মেমোরি ব্যাকআপ
অধিকাংশের অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোনে বর্তমানে সব ফাইল ইন্টারনাল স্টোরেজে জমা থাকে। রেকর্ড করা গুরুত্বপূর্ণ ভিডিও বা তোলা ছবি যা হয়তো কোনো স্মৃতিকে বহন করে, রিসেটের মাধ্যমে একমুহূর্তেই হারিয়ে যাবে। পাশাপাশি যে কোনো ডাউনলোড করা ফাইলও মুছে যাবে রিসেটের পর। তাই ইন্টারনাল স্টোরেজের সব ফাইলকে কম্পিউটারে, ক্লাউড স্টোরেজ কিংবা ড্রাইভে ব্যাকআপ রেখে তারপর রিসেট ফ্যাক্টরি দেয়া উচিত।
মোবাইল চার্জ
যদি রিসেট নেয়ার সময় মোবাইল বন্ধ হয়ে যায়, তবে মুঠোফোনটি নিয়ে মারাত্মক ঝুঁকিতে পড়তে পারে যে কেউ। এসব ক্ষেত্রে সাধারণত মোবাইল ফোনের সিস্টেম ক্র্যাশ করার আশঙ্কা থাকে। ফলে ফোনটি আর চালু হতে পারে না। মোবাইলটি তখন অভিজ্ঞ টেকনিশিয়ানের কাছে নেয়া ছাড়া উপায় থাকে না।
ইন্টারনেট কানেকশন
রিসেটের পর মোবাইল ফোনটি পুনরায় কাজ শুরু করার আগে জিমেইলে লগইন বা প্রবেশ করতে বলবে। তাই অবশ্যই মোবাইলের ইন্টারনেট সংযোগ নিশ্চিত করে তারপর রিসেট দেয়া উচিত। ওয়াই-ফাই বা মোবাইল ডেটা যা-ই হোক না কেন, ইন্টারনেট সংযোগ নিশ্চিত না করে ফ্যাক্টরি রিসেট দিলে মোবাইল চালু হওয়ার পরও এর ভেতরে প্রবেশ বা কাজ করা যায় না।
ফ্যাক্টরি রিসেট দেয়ার জন্য আগে মোবাইলের সেটিংস অপশনে যেতে হবে, সেখানে অ্যাবাউট ফোন বা সিস্টেম অপশনটি বাছাই করে ব্যাক অ্যান্ড রিসেট অপশনে যেতে হবে। ইরেজ অল ডেটা বা ফ্যাক্টরি রিসেট অপশনটি বাছাই করলেই মোবাইল ফোনটি রিসেট নেয়া শুরু করবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।