কক্সবাজার বাংলাদেশের সবচেয়ে পর্যটক সমাদৃত এলাকা। কেবল বাংলাদেশ নয়, সারা বিশ্বের যেসব পর্যটক বাংলাদেশ ভ্রমণে আসেন; তাঁদের বেশির ভাগ কক্সবাজারে আসেন পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকতসহ বাংলাদেশের অন্য অঞ্চলের তুলনায় বেশি পর্যটন সুবিধা কক্সবাজারে পাওয়া যায় বলে। বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট ও হোটেলে আন্তর্জাতিক, প্যান–এশিয়ান, ইউরোপিয়ান, ল্যাটিন, মধ্যপ্রাচ্যের কুজিন ছাড়াও নানা ধরনের সামুদ্রিক খাবার আর বাংলাদেশের সব অঞ্চলের কোনো না কোনো খাবার এখানে মিলবে।
ট্রেনের কাটলেট আর মোরগ–পোলাও
ট্রেনে ভ্রমণ আমার কাছে সবচেয়ে স্বস্তিদায়ক। একধরনের মৃদু ছন্দের সঙ্গে বাইরের দৃশ্য দেখতে দেখতে ভ্রমণ। শহরের গণ্ডি ছাড়িয়ে গ্রামে ঢুকলেই দেখা যায় সবুজের সমারোহ। শুধু তা–ই নয় অনেকেই ট্রেনে ভ্রমণ করেন এখানকার মুখোরোচক খাবারের জন্য। অবশ্য এই বিষয়ে অনেকেই দ্বিমত পোষণ করবেন।
আগের সেই মান আর নেই, তবে সিলেট বা চট্টগ্রামের ট্রেনে চড়লে কিছুক্ষণ পরপর নাশতা বা খাবার নিয়ে হকারদের কিংবা ট্রেন ফুড ক্যানটিন স্টাফদের চলে আসা আমি খুব উপভোগ করি। অন্যান্য গন্তব্যের ট্রেনের খাবারের মান আসলেই আগের মতো নেই তবে কক্সবাজার ঢাকা রুটের ট্রেনের খাবারের মান বেশ ভালো। লাঞ্চ টাইমে চিকেন পোলাওয়ের স্বাদ আমার বিবেচনায় বেশ।
অল্প তেলে করা পোলাওয়ে এলাচি, দারুচিনি, লবঙ্গ আর তেজপাতার মৃদু স্বাদ সুগন্ধি চালের স্বাদ মুখে লেগে থাকবে নিঃসন্দেহে, পোলাওয়ের সুস্বাদু লাগার মূলমন্ত্র হলো ঠিকঠাক সেদ্ধ হওয়া, তবেই কেল্লা ফতে। এই পোলাওটা গরম–গরম খেতে পারলে আরও দুর্দান্ত লাগত; কিন্তু ক্যানটিন থেকে আসতে আসতেই একটু ঠান্ডা হয়ে যায়, সঙ্গে থাকে সেদ্ধ ডিম আর হালকা ঝোলের কষা চিকেন। একজনের জন্য পরিমাণ যথেষ্ট; দাম পড়বে ১৭০ টাকা।
ভ্রাম্যমাণ দোকানের আনারকলি
আনারকলি বা প্যাশন ফ্রুট কক্সবাজারের সুগন্ধা আর লাবণী পয়েন্টের সমুদ্রসৈকতে ভ্রাম্যমাণ দোকানিরা বিক্রি করে এই ফল। একেকটি বড় পাকা প্যাশন ফ্রুট বিক্রি হয় ৫০ টাকায়। পর্যটন মৌসুমে বেড়ে যায় এর চাহিদা। টক–ঝাল–মিষ্টি এ ফলকে এখানে ঘুরতে আসা পর্যটকেরাই জনপ্রিয় করে তুলেছেন। আমি চেখে দেখলাম। ভেতরের হলদেটে বীজযুক্ত পাকা ফলের স্বাদ আমাদের দেশি ডেউয়া ফলের মতো। এর সঙ্গে বিটলবণ, মরিচগুঁড়া, জিরাগুঁড়া মিশিয়ে আর মুখরোচকভাবে পরিবেশন করা হয় পর্যটকদের কাছে। কক্সবাজার গেলে অবশ্যই খেতে ভুলবেন না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।