স্পোর্টস ডেস্ক: এই ম্যাচটা খেলারই কথা ছিল না মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের। ওপেনার মুনিম শাহরিয়ারের চোট সুযোগ মেলে তার। ব্যাট হাতে করেন ১১ বলে ১৫ রান, কিন্তু তার আগে এক ওভার বল করে কোন রান না দিয়ে নিয়েছিলেন উইকেট। তাকে কেন পরে আর বোলিং দেওয়া হয়নি এই নিয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
একাদশে থাকলেও বল করার কথা ছিল না মোসাদ্দেকের। নিয়মিত বোলাররা মার খাওয়াতে এবং ক্রিজে বাঁহাতি ব্যাটার দেখে ১৩তম ওভারে তাকে বল দেন মাহমুদউল্লাহ।
বাঁহাতি পুরান ওই ওভারের প্রথম দুই বলে কোনও রান নিতে না পেরে অস্থির হয়ে যান। তৃতীয় বলে স্লগ করার চেষ্টায় হয়ে যান এলবিডব্লিউ। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে ক্রিজে এসে প্রথম তিন বল দেখেশুনে খেলেন রভম্যান পাওয়েল। এই ফাঁকে মেডেন উইকেট হয়ে যায় মোসাদ্দকের।
১৩ ওভার শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান ছিল ৩ উইকেটে ১০০। পরের ৭ ওভারে আসে আরও ৯৩ রান। এরমধ্যে পাওয়েলই করে ফেলেন ২৮ বলে ৬১।
মোসাদ্দেককে আর বল করতে হলে আসতে হত ১৫ বা ১৬তম ওভারে। তখন নিয়মিত বোলাররাই আসেন। মোস্তাফিজ ১৫তম ওভারে দেন ১০ রান, সাকিব ১৬তম ওভারে দিয়ে দেন ২৩ রান।
ক্রিজে তখন পাওয়েল ও ব্র্যান্ডন কিং। দুজনেই ডানহাতি। উইন্ডিজের পরের দিকের ব্যাটাররাও সবাই ডানহাতি। ম্যাচ শেষে মাহমুদউল্লাহ জানালেন ডানহাতি ব্যাটারের জন্য অফ স্পিন সহজ হয়ে যেতে পারে এই চিন্তায় আর ওদিকে যাননি তারা, ‘মোসাদ্দেককে আমি অবশ্যই বল করাতাম কিন্তু যেহেতু ক্রিজে দুটো ডানহাতি ছিল এবং ওই পাশটাও ছোট ছিল। এজন্য তাকে না এনে তাসকিনকে এনেছি। সাকিবকেও আর পরে করাতে চেয়েছিলাম। তবে আমার মনে হয় রভম্যান পাওয়েল অসাধারণ ব্যাটিং করেছে। সে ম্যাচ আমাদের কাছ থেকে বের করে নিয়ে গেছে।’
দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ১৯৩ রানের জবাবে পুরো ওভার ব্যাট করে বাংলাদেশ করতে পারে ১৫৮ রান। লড়াইবিহীনভাবে ম্যাচ হারে ৩৫ রানে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।