জুমবাংলা ডেস্ক: আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার ও সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছে বাংলাদেশে জাতিসংঘ আবাসিক সমন্বয়কারীর কার্যালয়।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে পাঠানো চিঠিতে এ শোক জানান জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি মিয়া সেপ্পো।
বাংলাদেশে কর্মরত জাতিসংঘ পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো শোকবার্তায় মিয়া সেপ্পো জানান, সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব পালনের সময় দেশের উন্নয়নে মোহাম্মদ নাসিমের ভূমিকা জাতি মনে রাখবে। একাদশ সংসদে খাদ্য মন্ত্রণালয়–সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির সভাপতি হিসেবেও তিনি ভূমিকা রেখেছেন। দলীয় সাধারণ সম্পাদকের মাধ্যমে মোহাম্মদ নাসিমের পরিবার ও সহকর্মীদের প্রতি গভীর সমবেদনা ও শোক জানান জাতিসংঘ পরিবার।
মোহাম্মদ নাসিম ১৩ জুন একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। ১৪ জুন তাঁকে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয়।
রক্তচাপজনিত সমস্যা নিয়ে ১ জুন হাসপাতালে ভর্তি হন মোহাম্মদ নাসিম। ওই দিনই তাঁর করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এরপর ৪ জুন তাঁর অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলেও ৫ জুন ভোরে তিনি স্ট্রোক করেন। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত সমস্যার কারণে দ্রুত অস্ত্রোপচার করে তাঁকে আইসিইউতে রাখা হয়। এরপর দুই দফায় ৭২ ঘণ্টা করে পর্যবেক্ষণে রাখে মেডিকেল বোর্ড। এর মধ্যেই পরপর তিনবার নমুনা পরীক্ষা করে করোনাভাইরাস পাওয়া যায়নি তাঁর শরীরে। কয়েক দিন স্থিতিশীল থাকলেও গত বৃহস্পতিবার রক্তচাপ অস্বাভাবিক ওঠানামা করতে থাকে নাসিমের। এরপর গত শুক্রবার পরিস্থিতি আরও জটিল হতে থাকে। হৃদ্যন্ত্রে জটিলতা দেখা দেয়।
মোহাম্মদ নাসিম একাদশ সংসদে খাদ্য মন্ত্রণালয়–সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি। তিনি আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের মুখপাত্রও তিনি।
২০১৪ সালের নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান মোহাম্মদ নাসিম। এর আগে ১৯৯৬-২০০১ সালের আওয়ামী লীগ সরকারের সময় ডাক ও টেলিযোগাযোগ, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।