জুমবাংলা ডেস্ক: যোগদানের প্রথম বছরেই তাঁর দক্ষতা ও বিচক্ষনতায় প্রশংসিত হয়েছিলেন সর্বমহলে। এখন স্থান পরিবর্তন করার প্রয়োজন হলেও মানুষ তাকে ভুলতে পারছেনা, সে নিজেও আবেগঘন স্ট্যাটাস দিয়েছেন ফেসবুকে। বলছিলাম সদ্য বিদায়ী মৌলভীবাজার জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কুলাউড়া সার্কেল) আবু ইউসুফের কথা। তিনি সম্প্রতি জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে মালিতে যোগদান করতে এই কর্মস্থল থেকে বিদায় নিয়েছেন।
দুইদিন আগে গত ১৯ সেপ্টেম্বর তাঁর ফেইসবুক টাইমলাইনে মৌলভীবাজারের ভূয়সী প্রশংসা করে তিনি একটি স্ট্যাটাস দেন।
যোগদানের প্রথম বছরই মৌলভীবাজারে আলোচিত জঙ্গি আস্তানা ঘেরাওসহ জঙ্গিদের সকল অপতৎপরতা বন্ধে সামনের সারিতে ভূমিকা পালন করেন তিনি। এরপর একে একে সামাজিক ও প্রশাসনিক বিভিন্ন অসংগতি দূরীকরণে তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে থাকেন। এই সার্কেলের অধিনস্ত সড়কের যানজট নিরসনে তাঁর বিভিন্ন ভূমিকার কারনে সর্বজন প্রশংসিত হয়েছেন। এমনকি তাঁর কাজের স্পৃহা দেখে তৎকালীন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাহজালাল মৌলভীবাজার পৌর শহরের যানজট নিরসনেও পরামর্শ নিয়েছিলেন।
সাংবাদিকদের সাথে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের কিছুটা দা-কুমড়া সম্পর্ক থাকলেও তাঁর সাথে ছিলো স্থানীয় সাংবাদিকদের বেশ সখ্যতা।
গত ১৯ সেপ্টেম্বর রাত ৮ টা ৫০ মিনিটে নিজের ফেইসবুক টাইমলাইনে মৌলভীবাজারকে ঘিরে তাঁর আবেগঘন স্ট্যাটাসটি নিচে তুলে ধরা হলো-
‘মৌলভীবাজার ভুলি নাই, ভুলা যায় না’
কাজের ব্যস্ততায় অনুভূতি ব্যক্ত করা যায় নাই। মৌলভীবাজার থেকে বিদায় নেয়ার সময় মনে হয়েছে আপনজনদের কাছ থেকে কিছু দিনের বিদায় নিচ্ছি।
মনে হচ্ছে, অচিরেই মিশন শেষে তাদের কাছে ফিরে যাব। কিন্তু বিধাতা কি লিখেছেন জানি না।
ডিএমপি থেকে গিয়ে জেলায় যখন চাকরি করার চিন্তা করলাম তখন বস হিসেবে শাহজালাল স্যারের অধীনে কেন চাকরি করতে গিয়েছিলাম তা স্যারের সফলতাই বলে দেয়। অবশ্য বর্তমান এসপি স্যারও অনেক অনেক ভাল। সার্কেল এডিশনাল এসপিও।
কুলাউড়ার লোকজনের সাথে মিশে গিয়েছিলাম বিরোধ মীমাংসা করতে গিয়ে। আসলে চেষ্টা করেছিলাম “কেউ না যেন ফিরে খালি হাতে।” অন্ততঃ সান্তনা টুকুও যাতে পায়।
কুলাউড়া, বড়লেখা ও জুড়ীর রাজনৈতিক নেতাদের অন্তরের অন্তস্তল থেকে ধন্যবাদ জানালেও কম হবে, কারণ কেউ কোনদিন ধমক তো দূরের কথা অযাচিত তদবিরও আমার কাছে করেন নাই।
সাংবাদিকেরা আমার সবচেয়ে বেশি প্রিয় বন্ধু এবং বড়ভাই হওয়ায় তাদের সহযোগিতা ছিল সবচেয়ে বেশি। তাদের আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।
সবশেষে পুলিশ কর্মকর্তাদের কথা না বলে পারা যায় না। সত্যি বলতে গেলে, এসপি শাহজালাল স্যারের জন্যই মৌলভীবাজার যাওয়া (ডিএমপি থেকে)। আনোয়ার স্যার, রওশন স্যার এবং সারওয়ার স্যারের উপদেশ ও সহযোগিতা আমার কাজের পথকে করেছে প্রশস্থ। স্যারদের অসংখ্য ধন্যবাদ। এডিশনাল এসপি রাশেদ এবং প্রতিটি থানার প্রত্যেক পুলিশ সদস্য আমাকে বিপদে ফেলার বিন্দু মাত্র চেষ্টা করেনি। তাদেরকেও ধন্যবাদ।
অনেক সুখকর স্মৃতিময় ঘটনা বলার ইচ্ছে ছিল। সময় সহায়ক হলো না।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।