স্পোর্টস ডেস্ক : আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে আফিফ হোসেন ধ্রুব এবং মেহেদী হাসান মিরাজের দৃঢ়তায় ৪ উইকেটে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে এ ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। ম্যাচ শেষে মেহেদী হাসান মিরাজ বলেন, বিশ্বাসটা খুব গুরুত্বপূর্ণ, আমরা যদি বিশ্বাস করতে পারি, এ ম্যাচ জেতাতে পারি, তাহলে আমরা জিতব।
আফগানিস্তানের দেয়া ২১৫ রান তাড়া করতে নেমে ৪৫ রানে ৬ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। অতীতে এমন পরিস্থিতি থেকে বাংলাদেশ এক শ রানও তুলতে পারেনি। শেষ দিকে কেউ দাঁড়িয়ে গেলেও জয়ের পথ থেকে ছিটকে পড়তে হয়েছে। এসব পরিস্থিতিতে জয় বাংলাদেশ ক্রিকেটে হ্যালির ধূমকেতুর মতোই বিরল।
আফিফ হোসেন ও মিরাজের অবিস্মরণীয় জুটিতে আজ তেমনই এক জয় ধরা দিল বাংলাদেশ ক্রিকেটে। এ জয়ের পেছনে মিরাজ জানালেন, বিশ্বাসের কথা। যেকোনো পরিস্থিতিতে জয়ের যে বিশ্বাসটুকু বাংলাদেশ ক্রিকেটে খুব বেশি দেখা যায় না।
কোনো উইকেট না পেলেও ১০ ওভারে ২৮ রান দিয়ে কিপটেমি করেন মিরাজ, ৩টি মেডেনও আছে। এরপর ব্যাটিংয়ে আটে নেমে খেলেছেন ১২০ বলে অপরাজিত ৮১ রানের স্মরণীয় এক ইনিংস।
ম্যাচসেরা হওয়ার পর মিরাজ বলেন, সত্যি কথা বলতে আমি আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। আফিফের সঙ্গে কথা বলেছি উইকেটে, এ ম্যাচ আমরা দুজনে জেতাতে পারি। তবে বিশ্বাসটা খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আমরা যদি বিশ্বাস করতে পারি, এ ম্যাচ জেতাতে পারব, তাহলেই আমরা জিতব। মানুষ পারে না, এমন কোনো জিনিস নেই, খালি দরকার বিশ্বাসটা। বিশ্বাস ছিল পারব। দর্শকেরা অনেক সমর্থন করেছে।’
১১৫ বলে ৯৩ রান নিয়ে অন্য প্রান্তে অপরাজিত ছিলেন আফিফ। দুজনে মিলে ৭ বল হাতে রেখে এনে দেন জয়। আফিফের ব্যাটিং থেকেও আত্মবিশ্বাস পাওয়ার কথা জানালেন মিরাজ, ‘অসাধারণ ইনিংস খেলেছে। সত্যি কথা বলতে ওর ব্যাটিং দেখে আমার আত্মবিশ্বাস বেড়েছে। আমি প্রথম দিকে একটু নার্ভাস ছিলাম। তবে ও আমায় একটা কথা বলেছে যে মিরাজ ভাই, আমরা ক্রিকেট বল টু বল খেলি, যা হবে পরে দেখা যাবে।
আফিফ তাকে বলেছে, ‘চিন্তা করার দরকার নেই যে অনেক রান দরকার। আমরা শুধু ওভার ধরে ধরে ব্যাটিং করি। একটা ওভার, একটা রান, দুটো রান,এভাবে করে করে এগোলে হয়তো ম্যাচটা আমরা জিততে পারব কিংবা পারব না, সেটা পরের কথা। কিন্তু (দলকে) আমরা একটা জায়গায় নিয়ে যেতে পারব।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।