স্পোর্টস ডেস্ক: কেভিন ডি ব্রুইনার ফিরে আসার ম্যাচে লিডস ইউনাইটেডকে প্রিমিয়ার লিগে ৭-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছে ম্যানচেস্টার সিটির। বড় এই জয়ে লিভারপুলের থেকে চার পয়েন্ট এগিয়ে শীর্ষস্থানেই রয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
করোনা ভাইরাসের কারণে নতুনভাবে আরোপ করা কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে কাল ইতিহাদ স্টেডিয়ামে পুরো ম্যাচেই সিটি অধিনায়ক ডি ব্রুইনা ছিলেন অপ্রতিরোধ্য। কোভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্ত এই বেলজিয়ান তারকা গত ৬ নভেম্বর থেকে মাঠের বাইরে ছিলেন। কাল মাঠে ফিরেই করেছেন দুই গোল।
এছাড়া স্কোরশিটে আরো নাম লিখিয়েছেন ফিল ফোডেন, জ্যাক গ্রীলিশ, রিয়াদ মাহারেজ, জন স্টোন ও ন্যাথান এ্যাকে। এনিয়ে লিগে টানা সপ্তম জয় তুলে নিল পেপ গার্দিওলার শিষ্যরা। এর ফলে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে থাকা লিভারপুল ও চেলসির উপর চাপ আরো বাড়লো।
মৌসুমে এটি ছিল সিটির সবচেয়ে বড় জয়। একইসাথে ১৯৮২ সালে ইংলিশ লিগে এক বছরে লিভারপুলের রেকর্ড ৩৩টি জয়ের রেকর্ডও স্পর্শ করেছে সিটিজেনরা।
ম্যাচ শেষে গার্দিওলা বলেছেন, ‘আজ আমরা যেভাবে খেলেছি তাতে আমি সত্যিই গর্বিত। যখন কেউ এ ধরনের ফলাফল অর্জন করে তার অর্থ হচ্ছে ব্যক্তিগত ভাবে পুরো দলই দুর্দান্ত খেলেছে। বিশেষ করে কেভিনের মত খেলোয়াড় যখন নিজের সেরাটা দেয় তখন ম্যাচের চেহারাই পাল্টে যায়। আজ সে যা করতে চেয়েছে সেটাই করতে পেরেছে। সে আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একজন খেলোয়াড়।’
লিডসের ইতিহাসে লিগে এটি তাদের সবচেয়ে পরাজয়ের রেকর্ড। বিধ্বস্ত ম্যাচের পর লিডস বস মার্সেলো বিয়েসলা বলেছেন, ‘আমরা এই ধরনের পারফরমেন্স আগে কখনই করিনি। এর কোন মানে নেই, ব্যর্থতার পুরো দায়-দায়িত্ব আমি আমার কাঁধে তুলে নিচ্ছি।’
ঘরের মাঠে ম্যাচের আট মিনিটেই এগিয়ে যায় সিটি। ফোডেনের শট ডিফ্লেকটেড হলে লাইনের উপর থেকে ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হন লিডস ডিফেন্ডার স্টুয়ার্ট ড্যালাস। গার্দিওলার অধীনে ২০৭ ম্যাচে এটি সিটির ৫০০তম প্রিমিয়ার লিগ গোল। জার্গেন ক্লপের লিভারপুলকে ছাড়িয়ে এটি প্রিমিয়ার লিগে নতুন একটি রেকর্ড। এ্যাস্টন ভিলার থেকে ১০০ মিলিয়ন ব্রিটিশ রেকর্ড অর্থে সিটিতে আসার পর মাত্র দুই গোল ২৬ বছর বয়সী গ্রীলিশ ১৩ মিনিটে মাহারেজের ক্রস থেকে হেডের সাহায্যে ব্যবধান দ্বিগুন করেন। সেপ্টেম্বরের পর এটাই গ্রীলিশের প্রথম গোল। ৩২ মিনিটে রড্রির পাস থেকে অক্টোবরের পর প্রথম গোল করেন ডি ব্রুইনা। ৪৯ মিনিটে সিটির হয়ে চতুর্থ গোলটি করে মাহারেজ। ৬২ মিনিটে ২০ গজ দুর থেকে শক্তিশালী শটে নিজের দ্বিতীয় গোল পূরণ করেন ডি ব্রুইনা। ৭৪ মিনিটে স্টোনসের গোলের চার মিনিট পর এ্যাকে সিটিকে সপ্তম গোল উপহার দিলে বড় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে স্বাগতিকরা।
করোনা ভাইরাসের নতুন ভেরিয়েন্ট ওমিক্রনে বিপর্যস্ত প্রিমিয়ার লিগে সোমবার রেকর্ড ৪২ জনের পজিটিভ হবার তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। ২০১৯-২০ মৌসুমে প্রতি সপ্তাহে করোনা পরীক্ষা শুরু হবার পর এটাই সর্বোচ্চ। করোনার হানায় গতকাল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড বনাম ব্রেন্টফোর্ডের ম্যাচটি স্থগিত হয়ে গেছে। এর আগে টটেনহ্যামের ব্রাইটনের বিপক্ষে এ্যাওয়ে ম্যাচটিও স্থগিত হয়ে যায়। ইউনাইটেড ও টটেনহ্যামে বেশ কয়েজন খেলোয়াড় ও স্টাফ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া ব্রাইটন, লিস্টার, নরউইচ ও এ্যাস্ট ভিলায়ও করোনায় আক্রান্ত হবার তথ্য পাওয়া গেছে। নতুন করোনা প্রোটোকল অনুযায়ী ইংলিশ প্রিশিয়ার লিগে খেলা সব খেলোয়াড় ও স্টাফকেই নিজ নিজ ক্লাবের অনুশীলন গ্রাউন্ডে প্রবেশের আগে করোনা পরীক্ষা করে ঢুকতে হচ্ছে। লিগের ২০ ক্লাবের গতকালকের সভায় সপ্তাহে দু’বার করে পিসিআর টেস্ট করানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।