স্পোর্টস ডেস্ক: শ্রীলংকার বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম দুই খেলায় হেরে (২-০) ট্রফি হাতছাড়া করেছে বাংলাদেশ। পরাজয়ের সিরিজে ম্যান অব দ্য সিরিজ হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন মুশফিকুর রহিম। বাংলাদেশ দলের এ নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান টানা দুই ম্যাচে জোড়া ফিফটির সাহায্যে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হিসেবে আছেন।
আগামী ৩১ এপ্রিল কলম্বোয় অনুষ্ঠিতব্য শেষ ম্যাচে মুশফিক এই পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে পারলে সিরিজ সেরার পুরস্কার নিজের করে নিতে পারবেন।
সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ৬৭ রান করা এ মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যান রোববার দ্বিতীয় ম্যাচে অপরাজিত ৯৮ রান করেন। পরপর দুই ম্যাচে দায়িত্বশীল ব্যাটিং করে ১৬৫ রান নিয়ে দুই দলের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে শীর্ষে রয়েছেন জাতীয় দলের সাবেক এ অধিনায়ক।
দুই ম্যাচে ১৪১ রান নিয়ে মুশফিকের ঠিক পরেই আছেন লংকান তারকা ব্যাটসম্যান কুশল পেরেরা। তিনি প্রথম ম্যাচে সেঞ্চুরি (১১১) করেছিলেন। আজ দ্বিতীয় ম্যাচে করেন ৩০ রান।
রান সংগ্রহের এই তালিকায় দ্বিতীয় পজিশনে লংকান সাবেক অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস। তিনি দুই ম্যাচে ১০০ রান সংগ্রহ করেছেন। ৮৯ রান করে চার নম্বরে লংকান ওপেনার অভিস্কা ফার্নান্দো। আর ৮৪ রান নিয়ে পাঁচ নম্বর পজিশনে আছেন শ্রীলংকান মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যান কুশল মেন্ডিস।
শ্রীলংকা সিরিজে প্রথম ম্যাচে ৩৯ রানে ৪ ব্যাটসম্যানের বিদায়ের পর দায়িত্বশীল ব্যাটিং করেন মুশফিক। পঞ্চম উইকেটে সাব্বিরের সঙ্গে গড়েন ১১১ রানের জুটি। তাদের এই জুটিতেই খেলায় ফেরার পাশাপাশি জয়ের স্বপ্ন দেখেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু সাব্বির রহমান রুম্মন আউট হয়ে যাওয়ায় মুশফিককে আর কেউই সেভাবে সঙ্গ দিতে পারেননি। যে কারণে ৩১৫ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে ৯১ রানে হেরে যায় বাংলাদেশ।
রোববার দ্বিতীয় ম্যাচেও একই অবস্থা। প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে ৩১ রানের দুই ওপেনার সৌম্য সরকার ও তামিম ইকবালের বিদায়ের পর ব্যাটিংয়ে নামেন মুশফিক। উইকেটের এক পাশ আগলে রেখে একাই লড়াই করে যান জাতীয় দলের এ নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান।
লংকান বোলারদের তোপের মুখে পড়ে সৌম্য সরকার, তামিম ইকবাল, মোহাম্মদ মিঠুন, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, সাব্বির রহমান রুম্মন ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের অসহায় আত্মসমর্পণের কারণে দলীয় ১১৭ রানে ছয় ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে চরম বিপদে পড়ে যায় বাংলাদেশ।
সেই অবস্থা থেকে দলকে টেনে তুলতে বাড়তি দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেন মুশফিক। সপ্তম উইকেটে মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গে গড়েন ৮৪ রানের জুটি। ৪৯ বলে ছয়টি চারের সাহায্যে ৪৩ রান করে সপ্তম ব্যাটসম্যান হিসেবে মিরাজ বিদায় নিলেও লেজের ব্যাটসম্যানদের নিয়ে লড়াই চালিয়ে যান মুশফিক। তার একার লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত ২৩৮ রান তুলতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ। দলের হয়ে ১১০ বলে ৬টি চার ও এক ছক্কায় ৯৮ রান করে অপরাজিত থাকেন মুশফিক।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।