নিজেদের শেষ দেখায় একেবারেই শেষ সেকেন্ডে গোল করে আর্সেনালকে জয়বঞ্চিত করেছিল ম্যানচেস্টার সিটি। এরপরেই ম্যানসিটি ফরোয়ার্ড আর্লিং হালান্ডের মুখ থেকে শোনা গিয়েছিল চলতি মৌসুমের সবচেয়ে আলোচিত শব্দ ‘Stay Humble’। আর্সেনাল কোচ মিকেল আর্তেতাকে সেই কথা বলার পর থেকেই সেটা ফুটবল দুনিয়াতে সবচেয়ে আলোচিত শব্দগুলোর একটি হয়ে ওঠে।
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে ফিরতি পর্বে আবার যখন আর্সেনাল এবং ম্যানচেস্টার সিটি মুখোমুখি, তখন এই ‘নম্র’ হওয়ার বার্তাটাই বাতাসে ভাসছিল ব্যাপক আকারে। আর ম্যাচশেষে আর্সেনাল যেন আর্লিং হালান্ডকে ফিরিয়ে দিয়েছে তার সেই কথাটাই। ৫-১ গোলে গানার্সরা রীতিমত বিধ্বস্ত করেছে সিটিজেন্সদের। ব্যর্থতার বৃত্তে ঘুরপাক খেতে থাকা ম্যানসিটির জন্য যা বড় এক ধাক্কাই বটে।
শনিবার শিরোপা দৌড়ে আর্সেনালের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী লিভারপুল বোর্নমাউথকে ২-০ গোলে হারিয়ে এগিয়ে যায় ৯ পয়েন্টে। দৌড়ে টিকে থাকতে তাই রোববার সিটিকে হারানো ছাড়া কোনো উপায় ছিল না মিকেল আর্তেতার শিষ্যদের। আর সেই কাজটা আর্সেনাল শেষ করেছে একেবারে ৫ গোল দিয়ে। ঘরের মাঠ এমিরেটসে ম্যানসিটিকে রীতিমত উড়িয়েই দিয়েছে গানার্সরা।
ম্যাচের মাত্র ২য় মিনিটেই মার্টিন ওডেগার্ডের গোলে এগিয়ে যায় আর্সেনাল। পুরো প্রথমার্ধেই ম্যানসিটির ওপর একপ্রকার রাজত্ব করেছে তারা। কাই হাভার্টজ সহজ সুযোগ মিস না করলে প্রথমার্ধেই আরেক গোল পেতে পারত গানার্সরা।
বিরতির পর ৫৫ মিনিটে আর্লিং হলান্ডের গোলে সমতা ফিরিয়েছিল সিটি। তবে এই গোলটা যেন আর্সেনালকে আরও বেশিই তাঁতিয়ে দিয়েছে। দুই মিনিট পরে থমাস পার্টের গোলে ২-১ গোলে এগিয়ে যায় আর্সেনাল। এরপর মাইলস লুইস-স্কেলি ৬২ মিনিটে গোল করে স্কোরলাইন করেন ৩-১।
সিটির জালে পরে আরও দুইবার বল জড়ান কাই হাভার্টজ ও এথান নোয়ানেরি। গ্যাব্রিয়েল মার্তিনেল্লি দুটি সহজ সুযোগ নষ্ট না করলে ব্যবধানটা আরও বড় হতেই পারত।
এই ম্যাচ দিয়ে সিটি ছয় ম্যাচ পরে প্রিমিয়ার লিগে হারের মুখ দেখেছে। ২৪ ম্যাচে সিটির পয়েন্ট ৪১, চতুর্থ স্থানে আছে দলটি। সমান ম্যাচে দুইয়ে থাকা আর্সেনালের পয়েন্ট ৫০। এক ম্যাচ কম খেলে লিভারপুল ৫৬ পয়েন্ট নিয়ে আছে সবার ওপরে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।