প্রাচীন ডিএনএ এর মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা জানার চেষ্টা করছে যে, প্রশমাবৃত ম্যামথ এবং গন্ডার কখন বিলুপ্ত হয়েছিল। ২০২১ সালে বিস্তৃত আর্কটিক থেকে উদ্ভিদ ও প্রাণীর ডিএনএ সংগ্রহ করে তা বিশ্লেষণ করা হয়।
বিশ্লেষণ করার পর জানা যায় যে, ম্যামথগুলি প্রায় তিন হাজার নয়শ বছর আগে উত্তর-মধ্য সাইবেরিয়ায় টিকে ছিল। বিজ্ঞানীদের ধারণা যে, ১০৭০০ বছর আগে কোন এক তরুণ ম্যামথের জীবাশ্ম খুঁজে পাওয়া গেছে।
সাইবেরিয়ার উপকূলে এবং বেরিং সাগরের দ্বীপপুঞ্জে একটা সময় ম্যামথ বাস করতে বলে জানা যায়। পরিবেশগত উপাদান থেকে পাওয়া প্রাচীন ডিএনএ বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা প্রাণী বিলুপ্তির বিষয়ে নতুন দৃষ্টিভঙ্গির সন্ধান পেয়েছে।
ইউরেশিয়ার পশমাবৃত গন্ডারের জিনগত প্রমাণ ইঙ্গিত করে যে, এসব প্রাণী হাজার হাজার বছর ধরে এই অঞ্চলে বসবাস করেছিল। গবেষণা রিপোর্টে বলা হয় যে, ম্যামথ ও গন্ডার মারা যাওয়ার পরেও তাদের বড় আকারের হাড় হিমশীতল মাটির নিচে দীর্ঘদিন ধরে টিকে ছিল।
সিনসিনাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের জীবাশ্মবিদ জোশুয়া মিলার এবং কলোরোডা বোল্ডার ইউনিভার্সিটির কার্ল থিমসন বলেন যে, বর্তমানে যেসব জেনেটিক প্রমাণ পাওয়া গেছে তা এসব প্রাণীদের বিলুপ্তি হওয়া নিয়ে আগে যা ধারণা করা হতো তা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে।
ম্যামথ সহ অন্যান্য বরফ যুগের প্রাণীরা কখন এবং কিভাবে মারা গেল সেটা দীর্ঘ সময় ধরে রহস্য হয়ে আছে। একটি প্রজাতি কখন পুরোপুরি বিলুপ্ত হয়ে যায় সে সম্পর্কে ধারণা পাওয়া সহজ নয়।
জীবাশ্ম ও পরিবেশগত ডিএনএ বিশ্লেষণের মাধ্যমে ওই প্রজাতি কোথায় এবং কতক্ষণ ধরে বাস করেছে সে সম্পর্কে ধারনা পাওয়া যায়। ডিএনএ এর নমুনা একটি জীবন্ত প্রাণী থেকে আসতে পারে এবং এটি হাড় থেকেও আসতে পারে।
উষ্ণ জলবায়ুতে একটি হাড়ের ডিএনএ কয়েক দশক ধরে স্থায়ী হয়ে থাকে। কিন্তু ঠান্ডা জলবায়ুর ক্ষেত্রে এ সময় আরো অনেক বেশি হয়ে থাকে। সবচেয়ে কম বয়সী ম্যামথ এর ডিএনএ বিশ্লেষণ করে দেখা যায় যে, যখন এ প্রজাতির জনসংখ্যা দিন দিন হ্রাস পাচ্ছিল সে সময়কে নির্দেশ করছে এটি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।