স্পোর্টস ডেস্ক : আর্জেন্টাইন ফুটবল কিংবদন্তি ডিয়াগো ম্যারাডোনা মারা গেছেন চার বছর হলো। শেষ দিনগুলোতে তার চিকিৎসায় নিয়োজিত ছিলেন আটজন চিকিৎসক, এরমধ্যে সাতজনের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় অবহেলাজনিত অপরাধ করার অভিযোগ ওঠায় তাদের বিচার শুরু হয়েছে। সেই মামলার শুনানিতে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ মরিসিও কাসিনেয়ি জানালেন চাঞ্চল্যকর তথ্য।
ম্যারাডোনার ময়নাতদন্ত করা এই বিশেষজ্ঞ আদালতে জানান, মৃত্যুর আগে মারাত্মক যন্ত্রণায় ভুগেছিলেন ম্যারাডোনা। হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ ও লিভার সিরোসিসের কারণে মৃত্যুর অন্তত ১০ দিন আগে থেকেই তার ফুসফুসে পানি জমেছিল। চিকিৎসক ও নার্সদের এ ব্যাপারে সতর্ক হওয়া উচিত ছিল বলে মত দেন তিনি।
মরিসিও আরও বলেন, ম্যারাডোনা যেখানে ছিলেন, সেটি গৃহ হাসপাতালে পরিণত করার জন্য উপযুক্ত ছিল না। অস্ত্রোপচারের দুই সপ্তাহ পর হৃদরোগ ও ফুসফুসে পানি জমার কারণে তিনি মারা যান।
কৌঁসুলিরা দাবি করেছেন, দীর্ঘ সময় ধরে যন্ত্রণা ভোগ করলেও তাকে ভাগ্যের হাতে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। এ কারণে সাত স্বাস্থ্যকর্মীর বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃতভাবে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। দোষী সাব্যস্ত হলে তাদের ৮ থেকে ২৫ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে।
২০২০ সালের ২৫ নভেম্বর ৬০ বছর বয়সে মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বাঁধার কারণে অস্ত্রোপচারের পর সুস্থ হওয়ার সময় মারা যান ফুটবল কিংবদন্তি। কোকেইন ও অ্যালকোহল আসক্তির দীর্ঘদিন ধরেই নানান সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। কিন্তু সেই লড়াই শেষ না হতেই অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে থেমে যায় ম্যারাডোনার জীবন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।