জুমবাংলা ডেস্ক : মৎস্য অবরোধকালীন সময় পিরোজপুরের সন্ধ্যা নদীতে বৃহস্পতিবার রাতে মৎস্য অভিযানে পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও জেলা মৎস্য কর্মকর্তার সামনে রাত ২টার দিকে সন্ধ্যা নদীতে জেলেবেশে আকস্মিকভাবে আবির্ভূত হলেন কাউখালী উপজেলা চেয়ারম্যান আবু সাঈদ মনু মিয়া।
মৎস্য অভিযানে নামা পুলিশ সুপার হায়াতুল ইসলাম খান, অতিরিক্তি পুলিশ সুপার মোল্লা আজাদ হোসেন ও জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেনের ইঞ্জিন ট্রলারটি উপজেলা চেয়ারম্যানের ট্রলারের কাছে ভিড়তেই কিংকর্তব্যবিমুর হয়ে যান তিনি। উপজেলা চেয়ারম্যান মনু মিয়া এ সময় তার সাঙ্গপাঙ্গকে সঙ্গে নিয়ে নদীতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কোনো ম্যাজিস্ট্রেট কিংবা উপজেলা মৎস্য বিভাগের কাউকে কিছু না জানিয়ে নিজে নিজেই এভাবেই নেমে পড়েন মৎস্য অভিযানে।
সূত্র জানায়, উপজেলা চেয়ারম্যান মনুকে রাত ২টার দিকে এভাবে নদীতে দেখে বিস্মিত হয়েছেন পুলিশ সুপার হায়াতুল ইসলাম খান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোল্লা আজাদ হোসেন ও জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মোশাররফ হোসেন।
মৎস্য কর্মকর্তা এ সময় চেয়ারম্যান মনুর কাছে জানতে চান, কেন তিনি মৎস্য বিভাগ ও প্রশাসনের কাউকে না জানিয়ে নদীতে নেমেছেন। এ সময় মনু মৎস্য কর্মকর্তাকে বিষয়টি তিনি পরে সমাধান করবেন বলে জানান।
উপজেলা চেয়ারম্যান মনু বলেন, কাউখালী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ফনি ভূষন পালকে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি। তাই জেলেসহ তার পিএস জাহিদুল ইসলাম রানাসহ কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে নদীতে অভিযানে নেমেছেন।
জেলা মৎস্য অফিসারের অভিযানে থাকা কয়েকজন জানান, চেয়ারম্যান মনুকে এ সময় একজন পুরোদস্তুর জেলের বেশে কোমড়ে বাঁধা গামছা, লুঙ্গি এবং সাদা গেঞ্জি পরিহিত অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়।
এ বিষয় উপজেলা চেয়ারম্যান মনু জানান, তিনি নদীতে মা ইলিশ পাহারার জন্যই নিজের লোকদের নিয়ে নদীতে এভাবে নেমেছেন। চেয়ারম্যানকে বহনকারী ট্রলারে তখন প্রায় ৫ হাজার মিটার কারেন্ট জাল থাকলেও ইলিশ পাওয়া যায় মাত্র ৩টি।
তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় অনেকেই জানিয়েছেন, মনু প্রায়ই তার সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে নদীতে মাছ ধরতে বের হন। এরই অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার রাতেও তিনি নদীতে মাছ ধরার জন্য গিয়েছিলেন। সূত্র- যুগান্তর
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।