নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর : গাজীপুরের কালিয়াকৈরে ময়নাতদন্তের ভয়ে কবর খুঁড়ে এক নারীর মরদেহ চুরির চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার বেনুপুর এলাকায় শুক্রবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। পরিবারের দাবি আলামত নষ্ট করার জন্যই মরদেহ চুরির চেষ্টা করা হয়।
জানা যায়, কালিয়াকৈরের আশাপুর এলাকার জসিম উদ্দিনের মেয়ে জুলেখা আক্তার শিখার সঙ্গে ১০ বছর আগে ঢাকার ধামরাই থানার যাদবপুর এলাকার আতাউর মাস্টারের ছেলে মেহেদী হাসানের বিয়ে হয়। ১১ সেপ্টম্বর শ্বশুরবাড়ি থেকে শিখার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওইদিন শিখার বাবা বাদী হয়ে মেহেদী ও তার বাবা আতাউরসহ কয়েকজনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য নিহতের মরদেহ শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। ময়নাতদন্ত শেষে নিহতের মরদেহ আশাপুর-বেনুপুর কবরস্থানে দাফন করা হয়।
ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেয়ে নিহতের বাবা নারাজি দিয়ে ঢাকার চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ফের ময়নাতদন্তের জন্য একটি আবেদন করেন। আদালত ৯ নভেম্বর একটি আদেশ প্রদান করেন। ওই আদেশে গাজীপুরের একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে শিখার মরদেহ কবর থেকে তুলে ফের ময়নাতদন্তের জন্য মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে নিদের্শ প্রদান করা হয়।
আদেশের প্রেক্ষিতে রোববার শিখার মরদেহ তোলা হবে। কিন্তু এর আগেই গত শুক্রবার রাতে কে বা কাহারা কবর খুঁড়ে শিখার মরদেহ তোলার চেষ্টা করে। টের পেয়ে নিহতের পরিবার কবরস্থানে যাওয়ার আগেই দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। তবে সেখানে দুর্বৃত্তরা কোদালসহ কবর খোঁড়ার সরঞ্জাম রেখে যায়।
নিহতের বাবা জসিম উদ্দিন বলেন, প্রতি রাতে কবরস্থানে পাহারা দেই। কিন্তু ওইদিন কবরস্থানে যেতে একটু দেরি হলে বিবাদী পক্ষ গুমের লক্ষ্যে করব খুঁড়ে মেয়ের মরদেহ চুরির চেষ্টা করে।
কালিয়াকৈর থানার ওসি মনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, কবর খুঁড়ে মরদেহ চুরির চেষ্টার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তবে রোববার ধামরাই থানা পুলিশ লাশটি তুলবে। পুলিশ তাদের সহযোগিতা করবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।