জুমবাংলা ডেস্ক : ময়মনসিংহে যুদ্ধাপরাধ মামলায় গ্রেফতার ৩ আসামী কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।তারা হলেন, জেলার ঈশ্বরগঞ্জের আঠারবাড়ি ইউনিয়নের ইটাউলিয়া গ্রামের সমশের আলীর ছেলে তারা মিয়া (৭০), কালিয়ান গ্রামের মেফর আলীর ছেলে মো. রুস্তম আলী (৮১), সোহাগী বাজার এলাকার মৃত হোসাইন আহম্মেদের ছেলে সৈয়দ মোস্তাফিজুর রহমান (৭২)। তিনি নগরীর এবিগুহ রোড এলাকায় বসবাস করতেন। আজ বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) বিকাল ৫ টায় সৈয়দ মোস্তাফিজুর রহমান কে চীফ জুডিশিয়াল আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আব্দুল হাই’র আদালতে তুলা হলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
অপরদিকে,একই দিন সন্ধ্যার দিকে তারা মিয়া ও মো. রুস্তম আলীকে চীফ জুডিশিয়াল আদালতের বিচারক মাহবুবা আক্তারের আদালতে তুলা হলে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। কারাগারে পাঠানোর বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন চীফ জুডিশিয়াল আদালতের কোর্ট ইন্সপেক্টর প্রসুন কান্তি দাস। এ বিষয়ে ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ শাহ কামাল আকন্দ সাংবাদিকদের বলেন, যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের মামলায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। এমন সংবাদ পাওয়ার পর অভিযান চালিয়ে মোস্তাফিজুর রহমানকে নগরীর এবিগুহ রোড এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এদিকে, ঈশ্বরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আবদুল কাদের মিয়া সাংবাদিকদের বলেন, যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের মামলায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। এমন সংবাদ পাওয়ার পরই ও মো. রুস্তম আলীকে তাদের নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়।পুলিশ জানায়, গ্রেফতারকৃত তিনজনই মুক্তিযোদ্ধের সময় এলাকাটিতে গণহত্যা, অগ্নিসংযোগের মতো অপরাধে যুক্ত ছিলেন। তাছাড়াও মোট ১২ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এদের মধ্যে তারা মিয়া জালিয়াতির মাধ্যমে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে মুক্তিযোদ্ধা কল্যানট্রাস্টের ভাতা ভোগ করছিলেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।