আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কাতারের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, যখনই আমরা একটি চুক্তির কাছাকাছি পৌঁছাই, তখনই উভয় পক্ষ (ইসরায়েল-হামাস) থেকেই নাশকতা হয়।
আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি বিশেষ সাক্ষাৎকারে এই মন্তব্য করেছেন।
সাক্ষাৎকারে আল-আনসারি যুদ্ধবিরতি আলোচনার সময় হামাস ও ইসরায়েলের আচরণ নিয়ে কাতারের হতাশার কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমরা উভয় পক্ষের কাছ থেকে আরও প্রতিশ্রুতি এবং আরও তৎপরতা (সিরিয়াসনে) দেখার প্রত্যাশা করি। আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সহায়তায় একটি চুক্তির জন্য আমরা উভয় পক্ষকে চাপ দিতে পারি। তবে এখন আমরা উভয় পক্ষের কাছ থেকে প্রক্রিয়া এবং মধ্যস্থতার প্রতি প্রতিশ্রুতির অনেক অভাব দেখতে পাচ্ছি।
আল-আনসারি আরও বলেন, কাতার যদি তাদের মধ্যস্থতার প্রচেষ্টাকে ‘হতাশাজনক প্রচেষ্টা’ হিসাবে দেখে তবে সরকারকে তার অবস্থান ‘পুনর্মূল্যায়ন করতে হবে’। কারণ আমরা এই সংঘাতকে দীর্ঘায়িত করার অংশ হিসাবে ব্যবহার করতে চাই না।
ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি, ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তির চেষ্টার ক্ষেত্রে মিশর এবং যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি কাতারেরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
হামাসসহ বাকি পক্ষের সঙ্গে কাতারের যে সম্পর্ক রয়েছে তা যুদ্ধবিরতি এবং শান্তি আলোচনায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি লাভের দিক থেকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়।
কিন্তু কাতার এখন খোলাখুলিভাবে শান্তি আলোচনা সফল হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে এবং মধ্যস্থতাকারী হিসাবে তার ভূমিকাও পুনর্বিবেচনা করছে।
কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মুহম্মদ বলেন, রাজনীতিবিদদের মুনাফা করার জন্য তাদের এই প্রচেষ্টা (যুদ্ধবিরতি বিষয়ক আলোচনা) ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
তিনি বলেন, দুর্ভাগ্যজনকভাবে, আমরা দেখেছি সংকীর্ণ রাজনৈতিক স্বার্থের জন্য এই মধ্যস্থতাকে অপব্যবহার করা হয়েছে। সূত্র : আল জাজিরা
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।