জুমবাংলা ডেস্ক : বর বেশে যমজ দুই ভাই সেলিম মাহমুদ ও সুলতান মাহমুদ এসেছেন বিয়ে করতে। এদিকে বধূবেশে বসে আছেন যমজ দুই বোন সাদিয়া ও নাদিয়া। সাদিয়ার সঙ্গে সেলিম আর নাদিয়ার সঙ্গে সুলতানের বিয়ে হয়। ব্যতিক্রমী এই বিয়ের আয়োজন করা হয় পাবনার ঈশ্বরদীতে।
শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে শহরের দরিনারিচা এলাকায় যমজ কনের বাবার বাড়িতে এই বিয়ের আয়োজন করা হয়। কয়েকশ অতিথির সামনে সাড়ে তিন লাখ টাকা করে দেনমোহরে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়। জাঁকজমক এই বিয়ে দেখতে বিয়ে বাড়িতে ভিড় জমায় উৎসুক মানুষ। অনেকে বিয়ের আসরে যমজ বর ও যমজ কনের সঙ্গে সেলফিও তুলেন। এটি এলাকায় স্মরণকালের একটি ব্যতিক্রমী বিয়ে হিসেবে কালের সাক্ষী হয়ে থাকবেন বলে মনে করছেন অনেকেই।
আজ কনের বাড়ি ঈশ্বরদীতে অনুষ্ঠিত হয় ‘বরযাত্রী বরণ’ ও বিয়ে নিবন্ধনের কাজ। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় আয়োজন করা হয় দুই কনের গায়ে হলুদ ও মুখ মিষ্টির আয়োজন। বিয়ের দিনগুলোকে প্রাণবন্ত করতে ওই রাতে আয়োজন করা হয় বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের।
সাদিয়া ও নাদিয়া শহরের দড়িনারিচা এলাকার কুদ্দুস আলীর মেয়ে। আর সেলিম মাহমুদ ও সুলতান মাহমুদ নওগাঁ জেলার মহাদেবপুর থানার সাফাপুর ইউনিয়নের কচু পুড়ি গ্রামের সেকেন্দার আলীর ছেলে।
কনের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, কনের বাবা কুদ্দুস আলী ও মা শিল্পী খাতুনের ইচ্ছে ছিল যমজ মেয়েদের একসঙ্গে, এক অনুষ্ঠানে বিয়ে দেবেন। কিন্তু একসঙ্গে যমজ ছেলে পেয়ে যাবেন, তেমনটাও তিনি ভাবেননি। এমন বর পাওয়ায় তারা অনেক খুশি।
যমজ বর বাছাইয়ের বিষয়ে কনের বাবা আব্দুল কুদ্দুস বলেন, সম্প্রতি তার কাপড়ের দোকানে একজন ক্রেতা আসেন। এ সময় যমজ দুই বোনকে দেখে তার ভীষণ পছন্দ হয়। পরে ওই ক্রেতার মাধ্যমে যমজ পাত্রের সন্ধান পান তিনি। খোঁজখবর নিয়ে পাত্রের পরিবারের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়। একপর্যায়ে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে বিয়ের তারিখ ঠিক হয়।
বরের বাবা সেকেন্দার আলীর বরাত দিয়ে বর পক্ষ বলছে, বিয়ের প্রস্তাব পাওয়ার পরপরই পরিবারের সকল সদস্য ও আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে কথা বলেন বরের বাবা। ছেলেদের মা সম্মতি দেওয়ায় তিনি চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য দুই ছেলেকে জানান। পরে তাদের সম্মতি পেয়ে বিয়ে সম্পন্নের কথা কনের বাবাকে জানিয়ে দেন। এরপর উভয় পক্ষের আলোচনা সাপেক্ষে বিয়ের দিনক্ষণ ও অন্যান্য বিষয়ে নির্ধারণ করা হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।