জুমবাংলা ডেস্ক : কোভিড-১৯ রোগে যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়কসহ, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ও স্বাস্থ্যকর্মীসহ নতুন করে ২৪ ঘণ্টায় ১৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন।
এ নিয়ে যশোর জেলায় গত ১০ মার্চ থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত ২৩০ জন করোনা শনাক্ত হলো। এর মধ্যে ১০১ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। যশোরের সিভিল সার্জন ডাক্তার শেখ আবু শাহীন সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে সোমবার যশোর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এক সভায় যশোরের ১৯টি এলাকার রেড জোন ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে যশোর শহরের পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ড, উপশহর ইউনিয়ন ও আরবপুর ইউনিয়র রয়েছে।
যশোর সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে, করোনার নমুনা সংগ্রহ করে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠানোর পর ১৪ জুন সোমবার ১৩৯টি রিপোর্ট যশোর সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে আসে। এর মধ্যে ১৪ জনের শরীরে করোনা পজিটিভ পাওয়া যায়।
এই ১৪ জনের মধ্যে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক, একটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার, যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের ইসিজি কাজে নিয়োজিত কর্মচারী রয়েছেন।
সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে আরো জানা গেছে, ১৪ জন আক্রান্তের মধ্যে যশোর সদর উপজেলার ৫ জন, অভয়নগর উপজেলায় ১ জন, চৌগাছায় ১ জন, ঝিকরগাছায় ৩ জন, কেশবপুর উপজেলায় ২ জন ও শার্শা উপজেলায় ২ জন।
গত ১০ মার্চ থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত যশোর জেলা থেকে ২ হাজার ৯৩৮ জনের নমুনা সংগ্রহ করে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনোম সেন্টারে ও খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ল্যাবে পাঠানো হলে ২ হজার ৫৭৭টি রিপোর্ট আসে। তার মধ্যে ২৩০ জনের শরীরে করোনা পজিটিভ আসে। তাছাড়া বর্তমানে ৩৬১টি রিপোর্ট পেন্ডিং রয়েছে বলে সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে বলা হয়েছে।
সোমবার যশোর জেলার মণিরামপুর ও বাঘার পাড়া উপজেলা বাদে অন্যান্য উপজেলা থেকে ৫১টি নতুন ও ৪টি ফলোআপ নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানোর প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।