জুমবাংলা ডেস্ক : যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা ভাঙ্গুড়া চকেরডাঙ্গা এলাকায় অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে তাৎক্ষণিক ধর্ষণের কোনো আলামত পাননি চিকিৎসক।
ওই মেয়েকে বুধবার (৭ অক্টোবর) রাতে বাঘারপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়। রাতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (খ সার্কেল) জামাল আল নাসের ও বাঘারপাড়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈয়দ আল মামুন।
ছাত্রীর মা জানান, বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তার মেয়ে বাড়ি থেকে বের হয়। এর কিছুক্ষণ পর একজন বলে তাদের মেয়ে পাশের ভাটার দিকে যেতে দেখলাম। এ সময় মেয়েটির বাবাসহ বাড়ির লোকজন তাকে খুঁজতে বের হয়। এ সময় মেয়েটিকে ভাটার পাশে পড়ে থাকা অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে বাড়ি ও পরে বাঘারপাড়া হাসপাতালে নিয়ে আসে।
তবে ওই ছাত্রী বার বার বলছিল ‘আমাকে জেঠা ডেকেছিল। তাই গেছিলাম’।(‘জেঠা/চাচা বছর তিনেক আগে মারা গেছেন।)।
এদিকে প্রতিবেশীরা অভিযোগ করেন, স্থানীয় এক যুবক মেয়েটিকে নির্যাতন করেছে। ওই যুবক একজন মুদি দোকানি। অন্য একটি সূত্র বলছে মেয়েটির সঙ্গে ওই যুবকের প্রেমের সম্পর্ক ছিল।
এদিকে রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে বাঘারপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসে মেয়েটিকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (খ সার্কেল) জামাল আল নাসের।
এ সময় তিনি বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থল ওই এলাকায় ঘুরে এসেছি। শুনেছি মেয়েটির সঙ্গে স্থানীয় এক যুবকের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তাকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে। তবে তদন্ত না করে নিশ্চিত কিছু বলা যাবে না। আগে মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষা করানোর জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হবে। তারপর পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে’। খারাপ কাজ করে কেউ পার পাবেন না বলেও মন্তব্য করেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।
রাতেই মেয়েটিকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার প্রস্তুতি চলছিল।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।