জুমবাংলা ডেস্ক: চলতি বোরো মৌসুমে যশোর জেলার ৮ উপজেলায় সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ২০ হাজার ৭২৮ মেট্রিক টন ধান এবং চুক্তিবদ্ধ মিলারদের কাছ থেকে ২৬ হাজার ৭৫৪ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে খাদ্য বিভাগ। সরকারকারিভাবে প্রতি কেজি ধানের দাম ২৭ টাকা এবং চালের দাম প্রতি কেজি ৪০টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।কৃষকরা সরাসরি সরকার নির্ধারিত এ দামে সরকারি খাদ্য গুদামে ধান এবং খাদ্য বিভাগের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ মিলাররা চাল বিক্রির সুযোগ পাচ্ছেন। এর ফলে উৎপাদন খরচ উঠানোর পাশাপাশি লাভের মুখও দেখতে সক্ষম হচ্ছেন কৃষকরা।
যশোর জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, অ্যাপসের মাধ্যমে ও কৃষি বিভাগের করা কৃষক তালিকা থেকে বোরো ধান সংগ্রহ শুরু হয়েছে।এক্ষেত্রে ৫টি উপজেলা থেকে অ্যাপসের মাধ্যমে ধান কেনা হবে। এছাড়া বাকি অন্য ৩টি উপজেলায় ধান চাষিদের তালিকা করেছে কৃষি বিভাগ। আর সেই তালিকায় নাম থাকা কৃষকরা সরকারি গুদামে সরাসরি ধান বিক্রি করতে পারবেন।সূত্রে জানা গেছে, যশোর সদর, কেশবপুর, চৌগাছা,ঝিকরগাছা ও শার্শা উপজেলা থেকে অ্যাপসে নিবন্ধনকারী কৃষকদের কাছ থেকে সরকার নির্ধারিত মূল্যে সরকারি খাদ্য গুদামে ধান সংগ্রহ করা হবে। এছাড়া মণিরামপুর, অভয়নগর ও বাঘারপাড়া উপজেলায় কৃষি বিভাগের দেয়া তালিকায় নাম থাকা কৃষকদের কাছ থেকে ধান কিনছে খাদ্য বিভাগ। গত ২৮ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া ধান সংগ্রহ অভিযান এবং ৭ মে থেকে শুরু হওয়া চাল সংগ্রহ অভিযান চলবে আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয় সূত্রে আরো জানা গেছে, এ বছর যশোর সদর উপজেলায় ৩ হাজার ১৩৮ মেট্রিক টন ধান এবং ৬ হাজার ২৬৫ মেট্রিক চাল, শার্শা উপজেলায় ৩ হাজার ৩২৫ মেট্রিক টন এবং ৬ হাজার ১৭১ মেট্রিক চাল, অভয়নগর উপজেলায় ১ হাজার ৮৫২ মেট্রিক টন ধান এবং ৭ হাজার ২১২ মেট্রিক চাল, ঝিকরগাছা উপজেলায় ২ হাজার ৭১৫ মেট্রিক টন ধান এবং ১ হাজার ৬০৮ মেট্রিক চাল, কেশবপুর উপজেলায় ১ হাজার ৩৬০ মেট্রিক টন ধান এবং ১ হাজার ১৬ মেট্রিক চাল, বাঘারপাড়া উপজেলায় ১ হাজার ৯৭৫ মেট্রিক টন ধান এবং ৩২৬ মেট্রিক চাল, মণিরামপুর উপজেলায় ৩ হাজার ৮৯২ মেট্রিক টন ধান এবং ২ হাজার ৫২৫ মেট্রিক চাল ও চৌগাছা উপজেলায় ২ হাজার ৪৭১ মেট্রিক টন বোরো ধান এবং ১ হাজার ৬৩১ মেট্রিক চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক নিত্যানন্দ কুন্ডু জানান, সরকার নির্ধারিত মূল্যে ধান সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়েছে। এ বছর ধানের প্রতি কেজির মূল্য ২৭ টাকা এবং প্রতিমণ ধান ১০৮০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। নিয়মানুযায়ী ওই দামে সরকারি গুদামে কৃষক তার উৎপাদিত ধান বিক্রি করতে পারবেন।আগাামী ১৬ মে পর্যন্ত তালিকাভূক্ত মিল মালিকদের সঙ্গে চুক্তি সম্পাদন চলবে বলে তিনি জানান। সূত্র: বাসস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।