লাইফস্টাইল ডেস্ক: সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ছবি বেশ ভাইরাল। ছবিতে জমে থাকা পানি, নুড়ি-পাথর আর মাঝেমাঝে জলজ কিছু গাছ-পাতা দেখা যাচ্ছে। কিন্তু এর মাঝেই লুকিয়ে আছে একটি ব্যাঙ! নিজের দৃষ্টিশক্তিকে যাচাই করার জন্য নিবেন নাকি চ্যালেঞ্জ?
যখন থেকে লকডাউন শুরু হয়েছে, টুইটারে নতুন একটি বিষয় ট্রেন্ড করছে, ‘ব্রেইনটিজার’! কী এই ব্রেইনটিজার? এমন সব ছবি ও ধাঁধাঁ যার সমাধান করে মগজ পুষ্ট হয়। কখনও খুঁজে বের করতে হচ্ছে বাঘ, কখনও বা ছুড়ে দেয়া হচ্ছে চিতাবাঘ বা মৌমাছি খোঁজার চ্যালেঞ্জ! নেটিজেনরা এই নতুন খেলা খুব পছন্দও করছেন। নিজেরা সমাধান করে ফের অন্যের উদ্দেশে শেয়ার করছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। দেখতে দেখতে সেই ব্রেইনটিজার ভাইরাল হচ্ছে। অনেক সময় আবার পুরনো ব্রেনটিজারই ঘুরে ফিরে আসছে।
নিউজ এইটিনের প্রতিবেদনে বলা হয়, গ্লেন্ডা ফিলিপ্স নামে আমেরিকার লুইসিয়ানার এক নারী একটি ছবি শেয়ার করেছেন। যে ছবিতে জমে থাকা পানি, নুড়ি-পাথর আর মাঝেমাঝে জলজ কিছু গাছ-পাতা, কোথাও বা ফাঁকফোকরে জমে রয়েছে শ্যাওলা। কিন্তু এই ছবির মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে একটি ব্যাঙ! আর সেই ব্যাঙকে খোঁজারই চ্যালেঞ্জ ছুড়েছেন গ্লেন্ডা!
নেটিজেনরা নিমিষে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন ব্যাঙ খুঁজতে। অনেকে ঝটপট খুঁজে পেয়ে যাচ্ছেন, অনেকের আবার ঘাম ছুটছে! কেউ-কেউ তো আবার হালই ছেড়ে দিচ্ছেন! দেখুন তো আপনি খুঁজে পান কিনা…
ছবিটি শেয়ার করে গ্লেন্ডা জানিয়েছিলেন, একদিন তিনি মন দিয়ে কাজ করছিলেন। আচমকাই শুরু হয় ব্যাঙের ডাক। আওয়াজটা আসছিল বাড়ির পিছনের দিক থেকে। তিনি সেখানে যান, দেখেন নুড়ি-পাথরের মধ্যে বৃষ্টির জল জমে রয়েছে। ফাঁকফোকরে কিছু জলজ গাছ-পাতা, শ্যাওলা। কিন্তু ব্যাঙ দেখতে পাচ্ছিলেন না। অথচ ব্যাঙের ডাক সেখান থেকেই আসছিল! নাছোড়বান্দা গ্লেন্ডা হাল ছাড়েননি, তিনি খুঁজতে শুরু করেন ব্যাঙ। ডাক যখন আসছে, তা হলে ব্যাঙ সেখানেই। অবশেষে সফল হন গ্লেন্ডা! নুড়ি পাথরের মাঝখান থেকে উদ্ধার করেন ব্যাঙ। দেখুন কোথায় লুকিয়ে ছিল ব্যাঙটি।
খুব ভাল করে নিরীক্ষণ করার পর গ্লেন্ডা দেখেন, তার থেকে এক হাত দূরেই রয়েছে ব্যাঙটি। শ্যাওলা রঙা ব্যাঙটি পুরো মিশে গিয়েছিল নুড়ি পাথরের সঙ্গে অর্থাৎ ক্যামোফ্লাজ করে ছিল। গ্লেন্ডা তৎক্ষণাৎ ছবি তুলে নেন আর নেটিজেনদের উদ্দেশে ব্যাঙ খোঁজার চ্যালেঞ্জ ছুড়ে ছবিটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।