আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কিছু খেলা অনুষ্ঠিত হয় ইনডোর স্টেডিয়ামে এবং কিছু খেলা আউটডোর স্টেডিয়ামে। বৃষ্টি হলেও অনেক খেলা ধারাবাহিকভাবে চলতে থাকে। যেমন ফুটবল। কিন্তু ক্রিকেট হচ্ছে এমন এক খেলা যা বৃষ্টিতে বন্ধ থাকে এবং এটি ক্রিকেটার সবথেকে বড় বাঁধা।
বৃষ্টির কারণে খেলা বাতিল হয়েছে, রিজার্ভ ডে তে গড়িয়েছে এবং মূল্যবান সময় নষ্ট হয়েছে; এ ধরনের ঘটনা ক্রিকেটের ক্ষেত্রে ঘটেছে। বৃষ্টির বাধা তৈরি হলে ডাক ওয়ার্ক লুইস মেথড পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
যে কয়েকটি বৈজ্ঞানিক মেথড চিন্তা করা হয়েছে তার মধ্যে এটি সবথেকে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এ পদ্ধতি উদ্ভাবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন পরিসংখ্যানবিদ ফ্রাঙ্ক ডার্কওয়ার্থ এবং টনি লুইস। ১৯৯২ সালের সেমিফাইনাল ম্যাচে ইংল্যান্ড এবং দক্ষিণ আফ্রিকার খেলা চলাকালীন সময়ে বৃষ্টির সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়।
ওই সময় তেমন গ্রহণযোগ্য বৈজ্ঞানিক মেথড না থাকা ফলে ইংল্যান্ড অনেক অন্যায্য সুবিধা পায় এবং এ কারণে ক্রিকেট অনেক দিন ধরে সমালোচিত হতে থাকে। বৃষ্টি না হলে ঐ ম্যাচ সাউথ আফ্রিকা জিততেও পারতো। পরবর্তী সময়ে ফ্রাঙ্ক ডার্কওয়ার্থ এ গাণিতিক সমস্যাটা অনুধাবন করতে পারেন।
এ পদ্ধতিতে নতুন লক্ষ বেঁধে দেওয়া হয় পরবর্তী সময়ে যারা ব্যাটিং করবেন সে দলের জন্য। ১৯৯৭ সালে এ পদ্ধতি সর্বপ্রথম ব্যবহার করা হয়। ইংল্যান্ড এবং জিম্বাবুয়ের ম্যাচ এ পদ্ধতির ফলে জিম্বাবুয়ে সাত রানের জয় পেয়েছিল।
ভারতের ক্রিকেটার মহেন্দ্র সিং ধোনি বলেন যে, এ পদ্ধতি বেশি জটিল এবং বোঝা কঠিন। আমি সাধারণত আম্পায়ার এর সিদ্ধান্তের জন্যই অপেক্ষা করতে পছন্দ করি। বর্তমানে এ পদ্ধতি সব জায়গায় গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।