ফরিদপুর-৪ সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণের প্রতিবাদে ষষ্ঠ দিনের মতো আজ সোমবারও ভাঙ্গায় সকাল–সন্ধ্যা অবরোধ কর্মসূচির ডাক দেন আন্দোলনকারীরা। তবে মহাসড়কে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর তৎপরতায় এখনও অবরোধ কার্যকর করতে পারেননি তারা।
সকাল ৬টা থেকে অবরোধের ঘোষণা থাকলেও সরেজমিনে দেখা গেছে, ঢাকা–খুলনা–ফরিদপুর–বরিশাল মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ, এপিবিএন ও যৌথবাহিনীর সদস্যরা টহল দিচ্ছেন।
ভাঙ্গা হাড়োয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রোকিবুজ্জামান জানান, দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে মহাসড়কে বাড়তি নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
এর আগে, গতকাল রোববারও ভাঙ্গায় সাড়ে ১১ ঘণ্টা মহাসড়ক ও রেলপথ বন্ধ ছিল। পরে স্থানীয় প্রশাসনের অনুরোধে এবং স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সম্মানার্থে আন্দোলনকারীরা অবরোধ প্রত্যাহার করেন। তবে একই সঙ্গে তারা দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত ঘোষিত সকাল–সন্ধ্যা অবরোধ কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।
শনিবার বিকেলে ভাঙ্গার আলগী ইউনিয়ন পরিষদে সংবাদ সম্মেলন করে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা দেন আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক ও ইউপি চেয়ারম্যান সিদ্দিক মিয়া। ওই রাতেই তাকে ডিবি হেফাজতে নেওয়ার পর রোববার সকাল থেকে আন্দোলনকারীরা ব্যাপক বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। দলে দলে মানুষ রোদ-বৃষ্টি উপেক্ষা করে মহাসড়ক ও রেলপথে নেমে আসেন।
প্রসঙ্গত, ফরিদপুর-৪ আসন দীর্ঘদিন ধরে ভাঙ্গা, সদরপুর ও চরভদ্রাসন উপজেলা নিয়ে গঠিত ছিল। আর ফরিদপুর-২ আসনে অন্তর্ভুক্ত ছিল নগরকান্দা ও সালথা উপজেলা। কিন্তু গত ৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশনের প্রকাশিত গেজেট অনুযায়ী, ভাঙ্গার আলগী ও হামিরদী ইউনিয়ন ফরিদপুর-২ আসনে যুক্ত করা হয়।
এ সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে স্থানীয়রা বলছেন, ভৌগোলিকভাবে ভাঙ্গার এই দুটি ইউনিয়ন নগরকান্দা ও সালথা উপজেলা থেকে দূরে অবস্থিত। ফলে প্রশাসনিক ও জনসেবামূলক কাজে তাদের চরম ভোগান্তির শিকার হতে হবে। তাই তারা আগের সীমানা পুনর্বহালের দাবি জানাচ্ছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।