বিনোদন ডেস্ক: ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে শুধু হিরো আলম নয়, নায়ক ফেরদৌস ও অভিনেতা সিদ্দিকুর রহমান লড়ার আগ্রহও দেখিয়েছিলেন। পরে ফেরদৌস ও সিদ্দিক মনোনয়ন না পেয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাড়ান। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে লড়বেন কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
নির্বাচন ঘিরে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে যুগান্তরের সঙ্গে কথা বলেন হিরো আলম। সেখানে নানা প্রশ্নের জবাব দেন তিনি।
হিরো আলমের কাছে জানতে চাওয়া হয় সম্প্রতি যে আসনে আপনি মনোনয়ন তুলেছেন, সেখানে তো আপনি ভোটারই না— এমন প্রশ্নোত্তরে হিরো আলম বলেন, নির্বাচনে সবার অংশগ্রহণের সুযোগ আছে। তবে নিয়ম মেনে। আমি ভোটার না হলেও নির্বাচনের বিধি মেনে অংশ নিচ্ছি। এ এলাকায় আমার জনপ্রিয়তা অনেক। তার প্রমাণ হচ্ছে— মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার আগে আমি যেন প্রার্থী হতে পারি, সে জন্য আমাকে এখানকার জনগণ সমর্থন দিয়ে স্বাক্ষর দিচ্ছে।
আওয়ামী লীগ থেকে যিনি মনোনয়ন পেয়েছেন, তার সঙ্গে কেমন প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলে মনে করেন আপনি? হিরো আলম বলেন, দেখুন জনগণ আমাকে ভালোবাসে। আমাকে ভোট দেবে। আমার প্রথম কথা হলো— সরকার সুষ্ঠু একটা নির্বাচন দিক। তার পর জনগণ তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেবে। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আমি একশ’ পার্সেন্ট বিজয়ী হব। এতে কোনো সন্দেহ নেই। এটা আমার বিশ্বাস।
হিরো আলম আরও বলেন, ভালো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকলে মাঠে খেলে মজা পাওয়া যায় না। আওয়ামী লীগের ভালো প্রার্থী হলে মাঠে খেলে মজা পাওয়া যাবে। যার তার সঙ্গে মাঠে খেলে মজা পাওয়া যায় না। হিরো আলম কোনো নরমাল ব্যক্তি নয় যে কোনো লোকের সঙ্গে খেলে মজা পাবে। হিরো আলমের জনপ্রিয়তা অনেক। তার সঙ্গে যেই আসুক টিকে থাকা কঠিন হবে।
আপনি কেন গুলশান-১৭ আসনে উপনির্বাপনে অংশ নিচ্ছেন? এ প্রশ্নে হিরো আলম বলেন, আমার নির্বাচনের অংশ নেওয়ার উদ্দেশ্য হচ্ছে— গত বগুড়ার নির্বাচনে আমাকে ছয়নয় করে হারিয়েছে। সেটার প্রতিবাদের মশাল হয়ে ঢাকার ১৭ আসনে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি। ঢাকাতে আমি আট বছর ধরে থাকি। ফলে ঢাকা শহরের প্রতি আমার মায়া তৈরি হয়েছে। সেই হিসাবে নির্বাচনটা এমন, এখানে দাঁড়ানোর সবার অধিকার আছে। যে কেউ দাঁড়াতে পারে। সেটা কোনো বিষয় না।
তিনি আরও বলেন, যারা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন তাদের থেকে হিরো আলম কিসে কম? তারা যদি একজন নায়ক হয় বা অভিনেতা হয়। আমিও তো নায়ক বা অভিনেতা। তা ছাড়া যদি জনপ্রিয়তা যাচাই করতে চাই তাদের থেকে জনপ্রিয়তা বেশি আমার। তা হলে আমার তাদের দেখে কেন ভয় লাগবে। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে তাদের থেকে বেশি ভোট পাব। আমাকে ভোট দিবে মানুষ ব্যক্তি হিরো আলম দেখে। ব্যক্তি হিরো আলমকে যারা ভালোবাসে তারাই ভোট দেবে। আমার জনপ্রিয়তার কাছে কোনো রাজনীতিক দল, ক্ষমতাধর ব্যক্তি খাটবে না।
আপনার অভিযোগ ছিল এলিট শ্রেণির মানুষ আপনাকে পছন্দ করে না। সেক্ষেত্রে গুলশান এলকায় এলিট শ্রেণিদের বসবাস বেশি। সেখানকার ভোটারদের প্রতি কীভাবে আস্থা রাখছেন যে আপনাকে ভোট দেবে? হিরো আলমের জবাব, আমিও বিশ্বাস করি যে এ এলাকায় এলিট শ্রেণির লোক বেশি। তবে সেখানে যারা বসবাস করছেন তারা কেউ সেখানকার স্থানীয় না। তারা বিভিন্ন জেলা থেকে এসে ৫২ পার্সেন্ট লোক ভাড়া থাকেন। ধনপতি বা কোটিপতি লোক সেখানে ভাড়া থাকেন । তারা তো ভোটারই না । তারা পছন্দ করলেই কী, না করলেই কী।
বগুড়ার মতো এখানে আপনার প্রার্থিতা নিয়ে কোনো সংশয় আছে কিনা? এ প্রশ্নের জবাবে হিরো আলম বলেন, আমার ভয় এই জায়গায়। এখানেই তো আমাকে আটকায়। আটকালে আবারও হাইকোর্ট দেখাব। আমি শুধু হাইকোর্টে গেলে সুষ্ঠু বিচার পাই। কারণ একটাই— আমার মধ্যে কোনো ভেজাল থাকে না।
এ নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার ব্যাপারে আপনি কতটুকু আশাবাদী এমন প্রশ্নে হিরো আলম বলেন, আমার প্রত্যাশা শুধু এক জায়গায়, যেহেতু গাজীপুরের নির্বাচন ফেয়ার হয়েছে। ওটাতে একটু আশা পেয়েছি। যে ফেয়ার নির্বাচন হতে পারে। আর সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আমি জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
চিত্রনায়ক ও সংসদ সদস্য (এমপি) বীর মুক্তিযোদ্ধা আকবর হোসেন পাঠান ফারুকের মৃত্যুতে শূন্য হওয়া ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে লড়তে চান আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম। এর আগেও বহু নির্বাচনে লড়ার অভিজ্ঞতা আছে হিরো আলমের। বগুড়ার দুটি আসনে লড়ে পরাজিত হয়েছেন তিনি।
প্রতিদিনের উপার্জন ছিল ৫০ টাকা, এখন সিনেমা প্রতি নেন ২০ কোটি!
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।