জুমবাংলা ডেস্ক : বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সদ্যবিদায়ী ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোঃ শফিউল আজিম বলেছেন, যারা বলে বিমান লাভে নেই, আমি একটা কথাই বলব- আল্লাহ তাদের হেদায়েত দান করুক।
বুধবার (২৯ মে) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকায় বিমানের প্রধান কার্যালয় বলাকা ভবনে এভিয়েশন ও ট্যুরিজম জার্নালিস্ট ফোরামের (এটিজেএফবি) সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি।
মোঃ শফিউল আজিম বলেন, বিমান গত ১০ বছরের আট বছরই লাভে ছিল। বিশ্বমানের প্রতিষ্ঠান দিয়ে অডিট করা হয়েছে লাভের বিষয়ে। আমরা বিমানে নিয়মিত নিয়োগ দিচ্ছি, বেতন বোনাস দিচ্ছি, প্রোফিট বোনাস দিচ্ছি। লাভ না হলে এসব টাকা কোথা থেকে আসছে? যারা বলে বিমান লাভে নেই, আমি একটা কথাই বলব- আল্লাহ তাদের হেদায়েত দান করুক।
তিনি বলেন, গত ১০ বছরের মধ্যে যে দুই বছর লস হয়েছে, তার মধ্যে এক বছর করোনাভাইরাসের আধিক্য ছিল। আরেকবার আমাদের মোটা অংকের পেমেন্ট পরিশোধ করতে হয়েছিল। গত বছর ডলারের সমস্যা ছিল, বিশ্বে দুটি যুদ্ধ চলমান, এর মধ্যেও আমরা লাভ করেছি। আমার দায়িত্বকালের মধ্যে যদি বিমানের বহরে ৪টি এয়ারক্রাফট কেনা হতো তবে খুশি হতাম। আমি চাইতাম ৫০টি এয়ারক্রাফটের মালিক হোক বিমান।
তিনি বলেন, নিজস্ব অর্থায়নে এয়ারক্রাফট কিনছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ এয়ারক্রাফট তৈরির প্রতিষ্ঠান এয়ারবাস থেকে যাত্রীবাহী এয়ারক্রাফট কেনারও ইঙ্গিত দেন তিনি।
সভায় বিমানের বিদায়ী এই সিইও বলেন, এয়ারবাস ফ্লাইট কেনার জন্য দুটি প্রস্তাব দিয়েছিল। প্রথমটাতে দুটি কার্গো ফ্লাইট বিক্রির কথা বলা হয়েছিল। তখন মনে হয়েছে, আপাতত আমাদের কার্গো বিমান কেনার দরকার নেই। তবে আমরা যাত্রীবাহী বিমান বহর বাড়ানোর ইচ্ছার কথা জানাই। তখন এয়ারবাস আমাদের চারটি যাত্রীবাহী ফ্লাইট বিক্রির দ্বিতীয় প্রস্তাব পাঠায়। এই প্রস্তাব আগের প্রস্তাবের চেয়ে ভালো ছিল। সেই প্রস্তাব ইভ্যালুয়েশন কমিটি থেকে বিমানের বোর্ডে যায়। বোর্ড এ বিষয়ে আগানোর নির্দেশনা দিয়ে নেগোসিয়েশন কমিটিতে পাঠিয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা এখন এয়ারবাসের অফারগুলোকে গুরুত্ব দিচ্ছি। আমাদের বহরের সব বড় এয়ারক্রাফট বোয়িংয়ের (২১টির মধ্যে ১৬টি বোয়িং)। কিছু ডাইভার্সিটি, নতুন এয়ারক্রাফট থাকলে যাত্রীরাও পছন্দ করবে। এ ছাড়া কোনো সময় যে কোনো কোম্পানির এয়ারক্রাফট খারাপ পারফর্ম করতে পারে, তখন যেন রিস্কে না পড়ি সে কারণে ডাইভার্সিফাইয়ের কথা ভাবছি।
বোয়িংয়ের এয়ারক্রাফট বিক্রির প্রস্তাব নিয়ে তিনি বলেন, বোয়িংও আমাদের প্রস্তাব দিয়েছে। আমরা সেটাও ইভ্যালুয়েট করব। বোয়িংয়ের সঙ্গে আমাদের দীর্ঘদিনের ভালো সম্পর্ক। শুধু এয়ারক্রাফট কেনাবেচা সম্পর্ক না, এ প্রতিষ্ঠানের টেকনিক্যাল সাপোর্ট ভালো, ক্রেডিট ফ্যাসিলিটি ভালো। সবমিলিয়ে আমরা একসঙ্গে ভালোভাবে কাজ করে যাচ্ছি। তবে যেই এয়ারক্রাফটই কিনি না কেন দুই প্রতিষ্ঠানের প্রতিযোগিতামূলক প্রস্তাবে ক্রেতা হিসেবে সুবিধাজনক অবস্থানে আছি।
সভায় এটিজেএফবির সভাপতি তানজিম আনোয়ার, সহসভাপতি রাজীব ঘোষ, সাধারণ সম্পাদক বাতেন বিপ্লব, সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরুল কাউসার ইমনসহ ফোরামের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, গত রোববার (২৬ মে) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার (সিইও) দায়িত্ব দেওয়া হয় মোঃ জাহিদুল ইসলাম ভুঞাকে। পৃথক এক প্রজ্ঞাপনে শফিউল আজিম পদোন্নতি দিয়ে ইসির নতুন সচিব করা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।