বিনোদন ডেস্ক : একুশে পদকপ্রাপ্ত বরেণ্য সংগীতশিল্পী সুবীর নন্দী আর নেই। পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে তিনি পাড়ি জমিয়েছেন না ফেরার দেশে। আজ মঙ্গলবার ভোররাতে তিনি সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।
তার মৃত্যুতে দেশের সংগীতাঙ্গণে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। শোকাহত তার দীর্ঘদিনের সহকর্মীরা। তাদের একজন স্বনামধন্য সংগীতশিল্পী ফাহমিদা নবী। সুবীর নন্দী মৃত্যু যাকে স্তব্দ করে দিয়েছে।
এছাড়াও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্টও করেছেন ফাহমিদা নবী। তিনি লিখেছেন, ‘আরো একটি নক্ষত্রের বিদায়…! সুবীর কাকার সাথে আমি আর সুমা ‘ফেরারি বসন্ত’ ছবিতে গান করেছিলাম।
‘আমি কাটার ভুবনে/ আলোর পিয়াসি/ সুরের আগুনে পুড়ি/ এক নতুন পৃথিবী গড়ি…’
ছবিতে বাবা এবং দুই কন্যার কণ্ঠে গানটি ছিলো।। আব্বার গানের ভক্ত ছিলেন, আব্বাকে অনুসরণ করতেন। তাই অ্যালবাম সাজিয়েছিলেন বাবার ১০টি গান গান দিয়ে। সেই তখন থেকে কাকার প্রতি ভক্তি ছিলো বাবা-সন্তানের মতো। মা বলে ডাকতেন। তার একমাত্র সন্তান মৌ-কে যেমন করে ডাকতেন তেমনি করে ভালোবাসতেন আমাদেরও।
কাকাকে কখনো না বলতে শুনিনি।
আমার উপস্থাপনায় ‘সুরের আয়না’র প্রথম পর্ব কাকা করেছিলেন। সেই পর্ব করতে গিয়ে কাকাকে নানান কথা বলতে গিয়ে বলেছিলাম- কাকা একটা ইচ্ছার কথা বলেন, ‘একটু আবেগ ভরা কণ্ঠে বলেছিলেন… “আমার শেষ ইচ্ছা- আমার মৃত্যুর পর কেউ যেন না কাঁদে, আমি চাই আমার শবদেহের পাশে সবাই যেন আমাকে গান শোনায়!”
সংগীত পাগল মানুষটি গান গান করেই কাঁদিয়ে চিরবিদায় নিলেন! শুধু গান গাইলেই শিল্পী হয়ে মানুষের মনে জায়গা করা যায় না। বিনয়ী, ধৈর্যশীল, রুচিশীল এবং নিরহংকারী হতে হয়। সুবীর কাকা তাই ছিলেন একজন প্রকৃত শিল্পী। তাইতো আজ তার ভক্তরা কাঁদছেন!
কাকা- আপনার গান বাঁচিয়ে রাখবে আপনাকে। সুবীর নন্দী কাকার পরিবারের সাথে আমরাও সমব্যথিত তার এই অকাল মৃত্যুতে। অত্যন্ত প্রিয় বিনয়ী শিল্পীর প্রয়াণে গভীর শোক প্রকাশ করছি। যেখানেই থাকুন শান্তিতে থাকুন।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।